ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতা রানার অপহরণের বিবরণ ভিত্তিহীন : প্রেস উইং

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন:  আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাস রানার অপহরণের বিবরণ, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ কথা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের যাচাইকৃত ফেসবুক পেজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, নির্মলেন্দু দাস রানা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা দাবি প্রচারিত হচ্ছিল। ১৮ মে এক্স এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আওয়ামী লগের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি পোস্টে চাঞ্চল্যকর এ দাবি প্রচার শুরু হয়। এতে বলা হয়, সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানাকে (৪৫) জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা অপহরণ করেছে।

কিছু কিছু প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নীরব থাকার অভিযোগ করেছে। ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতি তার সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছে। তবে প্রেস উইং জানায় দাবিগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তদন্তের ভিত্তিতে প্রেস উইং জানায়, রানাকে কেউ অপহরণ করেনি। ১৭ মে রাতে সিলেট শহরের একটি বাজারে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয় কিছু লোক তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, নির্মলেন্দু দাস রানা ইতোমধ্যেই একাধিক ফৌজদারি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধীদের দ্বারা আয়োজিত একটি সমাবেশে হামলার জন্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়ের করা মামলায় তিনি প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন।

এছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহের সময় ছাত্রদের ওপর হামলার জন্যও রানার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

সংবাদপত্রের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় রানা তার এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি বেপরোয়া এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিলেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২১ সালে রানাকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিয়ন কর তহবিল থেকে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।

এসব বাস্তব তথ্য সত্ত্বেও সামাজিক মাধ্যমে রানার অপহরণের যে গল্প ছড়ানো হয়েছে, তা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে রচিত। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রেস উইং।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগ নেতা রানার অপহরণের বিবরণ ভিত্তিহীন : প্রেস উইং

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদন:  আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাস রানার অপহরণের বিবরণ, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ কথা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের যাচাইকৃত ফেসবুক পেজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, নির্মলেন্দু দাস রানা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা দাবি প্রচারিত হচ্ছিল। ১৮ মে এক্স এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আওয়ামী লগের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি পোস্টে চাঞ্চল্যকর এ দাবি প্রচার শুরু হয়। এতে বলা হয়, সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানাকে (৪৫) জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা অপহরণ করেছে।

কিছু কিছু প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নীরব থাকার অভিযোগ করেছে। ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতি তার সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছে। তবে প্রেস উইং জানায় দাবিগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তদন্তের ভিত্তিতে প্রেস উইং জানায়, রানাকে কেউ অপহরণ করেনি। ১৭ মে রাতে সিলেট শহরের একটি বাজারে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয় কিছু লোক তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, নির্মলেন্দু দাস রানা ইতোমধ্যেই একাধিক ফৌজদারি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধীদের দ্বারা আয়োজিত একটি সমাবেশে হামলার জন্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়ের করা মামলায় তিনি প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন।

এছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহের সময় ছাত্রদের ওপর হামলার জন্যও রানার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

সংবাদপত্রের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় রানা তার এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি বেপরোয়া এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিলেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২১ সালে রানাকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিয়ন কর তহবিল থেকে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।

এসব বাস্তব তথ্য সত্ত্বেও সামাজিক মাধ্যমে রানার অপহরণের যে গল্প ছড়ানো হয়েছে, তা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে রচিত। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রেস উইং।