ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

কুমারখালীতে মিষ্টি তৈরির কারখানা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ঃ

বাড়ির পিছনে বিশাল গরুর খামার। তার সঙ্গেই লাগোয়া গোবরের স্তুপ। গোবর আর খামার ঘেঁষেই মিষ্টিজাত পণ্য তৈরির কারখানা। নেই কোনো বেড়া বা ঢাকনার ব্যবস্থা। মশা, মাছি ও পোকামাকড় ভনভন করছে। উড়ে বেড়াচ্ছে পাখি। আবার কারখানাটির নেই কোনো লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্রাদি। তবুও কোনো নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই প্রায় দুই বছর ধরে চলছিল কারখানাটি। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী  দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড বেকারীতে অভিযান চালিয়েছে কুষ্টিয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াসিন আরাফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফারুক হোসেন, পুলিশ প্রমূখ। কারখানাটি উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

কারখানার ব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, কোনো বৈধতা ছাড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে কারখানাটি। আমাদের ভুল হয়েছে। খুব দ্রুতই সংশোধন করা হবে।

জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেন, ‘ যেন গরুর খামারেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টিজাত পণ্য। এখানে পশুপাখির অভয়ারণ্য ও অবাধ বিচরণ। কোনো বৈধতায় নেই। সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ এবং কাগজপত্রাদি না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ‘

যেহেতু কোনো বৈধতা নেই, সেহেতু কারখানাটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন কিনা?  এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংশোধনের জন্য সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিছু মিষ্টিজাত পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। আইন অমাণ্য করলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে শুধু জরিমানা করায় অখুশি স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি দ্রুত অবৈধ কারখানাটি বন্ধ করা হোক।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে খুব দ্রুতই কারখানাটি বন্ধ করার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুমারখালীতে মিষ্টি তৈরির কারখানা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ঃ

বাড়ির পিছনে বিশাল গরুর খামার। তার সঙ্গেই লাগোয়া গোবরের স্তুপ। গোবর আর খামার ঘেঁষেই মিষ্টিজাত পণ্য তৈরির কারখানা। নেই কোনো বেড়া বা ঢাকনার ব্যবস্থা। মশা, মাছি ও পোকামাকড় ভনভন করছে। উড়ে বেড়াচ্ছে পাখি। আবার কারখানাটির নেই কোনো লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্রাদি। তবুও কোনো নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই প্রায় দুই বছর ধরে চলছিল কারখানাটি। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী  দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড বেকারীতে অভিযান চালিয়েছে কুষ্টিয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াসিন আরাফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফারুক হোসেন, পুলিশ প্রমূখ। কারখানাটি উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

কারখানার ব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, কোনো বৈধতা ছাড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে কারখানাটি। আমাদের ভুল হয়েছে। খুব দ্রুতই সংশোধন করা হবে।

জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেন, ‘ যেন গরুর খামারেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টিজাত পণ্য। এখানে পশুপাখির অভয়ারণ্য ও অবাধ বিচরণ। কোনো বৈধতায় নেই। সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ এবং কাগজপত্রাদি না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ‘

যেহেতু কোনো বৈধতা নেই, সেহেতু কারখানাটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন কিনা?  এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংশোধনের জন্য সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিছু মিষ্টিজাত পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। আইন অমাণ্য করলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে শুধু জরিমানা করায় অখুশি স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি দ্রুত অবৈধ কারখানাটি বন্ধ করা হোক।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে খুব দ্রুতই কারখানাটি বন্ধ করার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।