ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা

ছাত্রনেতা অশ্রু’র প্রশ্ন: আইনের শিক্ষার্থীরা অবহেলার শিকার কেন ?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / 34

প্রাইম টিভি বাংলা : আইনের ছাত্রদের সফলতা কামানা করে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম অশ্রু বলেন, আইনের ছাত্রদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটুক ও সুযোগ সৃষ্টি হউক সর্বক্ষেত্রে সব সেক্টরে প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে আইনের শিক্ষার্থীরা কেন অবহেলার শিকার ?
তিনি বলেন, যেখানে প্রতিবছরেই নিয়মিত বার কাউন্সিল পরীক্ষা হওয়ার কথা সেখানে দুই বছরেও একটি পরীক্ষা হচ্ছে না। অন্য বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা যেখানে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই চাকরীর জন্য দরখাস্ত করতে পারছে, সেখানে একজন আইন গ্রাজুয়েটকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৬ মাস শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সনদ দেখাতে হয়। এই ৬ মাসের যদি ১ দিন কম হয় তবুও সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে যদি কোন পরীক্ষা চলে যায়, তবে ঐ শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরবর্তী পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে ২ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কারন আমাদের দেশে ১ বছর পর পর বার পরীক্ষা হওয়ার কোন নজীর নেই। সর্বশেষ বার এনরোলমেন্ট পরীক্ষা হয় ২০১৭ সালে। ২০১৯ সালে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, যেখান অন্যান্য বিভাগের বন্ধুরা এই সময়ে বিভিন্ন চাকুরীর বা বিসিএসের পরীক্ষা দিয়ে কেউ চাকুরী পেয়ে গেছে বা অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছে, সেখানে একজন আইন গ্রাজুয়েট হতাশা ছাড়া কিছুই পায়নি। ৬ মাস এপ্রেন্টিসশপ করার পরে তাদের অনেকেই কোন চেম্বার পায়নি। যারা পেয়েছে, হতাশা ঘিরে ধরে রেখেছে তাকে। জীবনে নেমে এসেছে ভয়ানক অন্ধকার। তার অন্য বন্ধু যখন প্রেয়সীকে বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছে, তখন আইনের ছেলেটি প্রেয়সীকে নিজের না করে নিতে পাওয়ার বেদনায় নিরবে কাঁদছে।

বার কাউন্সিলের পরীক্ষার দাবি জানিয়ে অশ্রু বলেন, সব সেক্টরে প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে আইনের শিক্ষার্থীরা কেন অবহেলার শিকার হবে? যেখানে প্রতিবছরেই নিয়মিত বার কাউন্সিল পরীক্ষা হওয়ার কথা সেখানে দুই বছরেও একটি পরীক্ষা হচ্ছে না। অন্য বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা যেখানে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই চাকরীর জন্য দরখাস্ত করতে পারছে, সেখানে একজন আইন গ্রাজুয়েটকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৬ মাস শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সনদের খোজেঁ ব্যস্ত। অবিলম্বে বার কাউন্সিল অধিভুক্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষনা চাই এবং নিয়মিত বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দাবি জানান তিনি।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ছাত্রনেতা অশ্রু’র প্রশ্ন: আইনের শিক্ষার্থীরা অবহেলার শিকার কেন ?

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

প্রাইম টিভি বাংলা : আইনের ছাত্রদের সফলতা কামানা করে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম অশ্রু বলেন, আইনের ছাত্রদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটুক ও সুযোগ সৃষ্টি হউক সর্বক্ষেত্রে সব সেক্টরে প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে আইনের শিক্ষার্থীরা কেন অবহেলার শিকার ?
তিনি বলেন, যেখানে প্রতিবছরেই নিয়মিত বার কাউন্সিল পরীক্ষা হওয়ার কথা সেখানে দুই বছরেও একটি পরীক্ষা হচ্ছে না। অন্য বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা যেখানে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই চাকরীর জন্য দরখাস্ত করতে পারছে, সেখানে একজন আইন গ্রাজুয়েটকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৬ মাস শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সনদ দেখাতে হয়। এই ৬ মাসের যদি ১ দিন কম হয় তবুও সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে যদি কোন পরীক্ষা চলে যায়, তবে ঐ শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরবর্তী পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে ২ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কারন আমাদের দেশে ১ বছর পর পর বার পরীক্ষা হওয়ার কোন নজীর নেই। সর্বশেষ বার এনরোলমেন্ট পরীক্ষা হয় ২০১৭ সালে। ২০১৯ সালে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, যেখান অন্যান্য বিভাগের বন্ধুরা এই সময়ে বিভিন্ন চাকুরীর বা বিসিএসের পরীক্ষা দিয়ে কেউ চাকুরী পেয়ে গেছে বা অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছে, সেখানে একজন আইন গ্রাজুয়েট হতাশা ছাড়া কিছুই পায়নি। ৬ মাস এপ্রেন্টিসশপ করার পরে তাদের অনেকেই কোন চেম্বার পায়নি। যারা পেয়েছে, হতাশা ঘিরে ধরে রেখেছে তাকে। জীবনে নেমে এসেছে ভয়ানক অন্ধকার। তার অন্য বন্ধু যখন প্রেয়সীকে বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছে, তখন আইনের ছেলেটি প্রেয়সীকে নিজের না করে নিতে পাওয়ার বেদনায় নিরবে কাঁদছে।

বার কাউন্সিলের পরীক্ষার দাবি জানিয়ে অশ্রু বলেন, সব সেক্টরে প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে আইনের শিক্ষার্থীরা কেন অবহেলার শিকার হবে? যেখানে প্রতিবছরেই নিয়মিত বার কাউন্সিল পরীক্ষা হওয়ার কথা সেখানে দুই বছরেও একটি পরীক্ষা হচ্ছে না। অন্য বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা যেখানে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই চাকরীর জন্য দরখাস্ত করতে পারছে, সেখানে একজন আইন গ্রাজুয়েটকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৬ মাস শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সনদের খোজেঁ ব্যস্ত। অবিলম্বে বার কাউন্সিল অধিভুক্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষনা চাই এবং নিয়মিত বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দাবি জানান তিনি।