ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

ঝিনাইদহে একটি গ্রাম করা হল “লকডাউন” সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০
  • / 39

ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম একটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামবাসির সচেতনতায় স্থানীয় উদ্যোগে সতর্কতা স্বরুপ এই কার্যক্রমে প্রশাসন সহায়তা দিচ্ছে। গ্রামটির নাম আনন্দবাগ। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা, তিন রাস্তার মোড়েই বসানো হয়েছে তল্লাসী চৌকি। যারাই গ্রামে প্রবেশ করছেন তাদের পরিচয় এবং প্রয়োজন নিশ্চিত হয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে জীবানুনাশক দিয়ে গোটা শরীর স্প্রে করে দিচ্ছে। আর গ্রামের মানুষগুলোর প্রয়োজন ছাড়া বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরী প্রয়োজন বুঝে বেরুতে দিলেও ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে জীবানুনাশক। পাশাপাশি গ্রামের হতদরিদ্র ২০ জনের তালিকা তৈরী করে তাদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিচ্ছেন গ্রামবাসি। পালাক্রমে গ্রামের লোকজন এই তল্লাসী চৌকির দায়িত্ব ছাড়াও গ্রামটি লকডাউন করতে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। গত তিনদিন তারা এভাবে নিজেদের গ্রামটিকে সুরক্ষা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামবাসির দাবি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলবে তাদের এই কার্যক্রম। সরেজমিনে আনন্দবাগ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পাইকপাড়া মোড়ের তল্লাসী চৌকিতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষক রুহুল আমিন। তাদের কাছে পৌছানো মাত্র দুই যুবক ছুটে আসেন। কোনো কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই জীবানুনাশক দিয়ে সমস্ত শরীর স্প্রে করে দেওয়া হলো। এরপর সাংবাদিক শুনতেই যুবকদ্বয় বললেন কিছু করার নেই এভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করছেন। যিনিই আনন্দবাগ গ্রামে প্রবেশ করবেন তাকেই এই স্প্রে’র মুখোমুখি হতে হবে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আনন্দবাগ গ্রামে ১৪০ টি পরিবারে দুই হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা রয়েছে। সবগুলো রাস্তার মোড়ে তাদের ছেলেরা কাজ করছেন। মোড়ে বাঁশ বেঁধে চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। সেখানে পটাশ ও স্যাভলন মিশ্রিত পানি, সাবান আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বসে আছেন যুবকরা। কেউ গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে স্প্রে করানো হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা মোবাশ্বের হোসেন জানান, এভাবে গ্রামটি লকডাউন করে দেওয়ায় নিত্য আয়ের মানুষগুলোর কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এই কথা চিন্তা করে তারা হতদরিদ্র ২০ জনের তালিকা করেছেন। এ অবস্থা যতদিন চলবে ততদিন গ্রামের মানুষ তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। যেহেতু সারা দেশে লকডাউন চলছে, সেখানে গ্রামবাসির এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো। তবে সতর্ক থাকতে হবে কোনো ভাবেই যেন জরুরী প্রয়োজন বাঁধাগ্রস্থ না হয়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝিনাইদহে একটি গ্রাম করা হল “লকডাউন” সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম একটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামবাসির সচেতনতায় স্থানীয় উদ্যোগে সতর্কতা স্বরুপ এই কার্যক্রমে প্রশাসন সহায়তা দিচ্ছে। গ্রামটির নাম আনন্দবাগ। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা, তিন রাস্তার মোড়েই বসানো হয়েছে তল্লাসী চৌকি। যারাই গ্রামে প্রবেশ করছেন তাদের পরিচয় এবং প্রয়োজন নিশ্চিত হয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে জীবানুনাশক দিয়ে গোটা শরীর স্প্রে করে দিচ্ছে। আর গ্রামের মানুষগুলোর প্রয়োজন ছাড়া বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরী প্রয়োজন বুঝে বেরুতে দিলেও ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে জীবানুনাশক। পাশাপাশি গ্রামের হতদরিদ্র ২০ জনের তালিকা তৈরী করে তাদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিচ্ছেন গ্রামবাসি। পালাক্রমে গ্রামের লোকজন এই তল্লাসী চৌকির দায়িত্ব ছাড়াও গ্রামটি লকডাউন করতে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। গত তিনদিন তারা এভাবে নিজেদের গ্রামটিকে সুরক্ষা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামবাসির দাবি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলবে তাদের এই কার্যক্রম। সরেজমিনে আনন্দবাগ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পাইকপাড়া মোড়ের তল্লাসী চৌকিতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষক রুহুল আমিন। তাদের কাছে পৌছানো মাত্র দুই যুবক ছুটে আসেন। কোনো কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই জীবানুনাশক দিয়ে সমস্ত শরীর স্প্রে করে দেওয়া হলো। এরপর সাংবাদিক শুনতেই যুবকদ্বয় বললেন কিছু করার নেই এভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করছেন। যিনিই আনন্দবাগ গ্রামে প্রবেশ করবেন তাকেই এই স্প্রে’র মুখোমুখি হতে হবে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আনন্দবাগ গ্রামে ১৪০ টি পরিবারে দুই হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা রয়েছে। সবগুলো রাস্তার মোড়ে তাদের ছেলেরা কাজ করছেন। মোড়ে বাঁশ বেঁধে চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। সেখানে পটাশ ও স্যাভলন মিশ্রিত পানি, সাবান আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বসে আছেন যুবকরা। কেউ গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে স্প্রে করানো হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা মোবাশ্বের হোসেন জানান, এভাবে গ্রামটি লকডাউন করে দেওয়ায় নিত্য আয়ের মানুষগুলোর কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এই কথা চিন্তা করে তারা হতদরিদ্র ২০ জনের তালিকা করেছেন। এ অবস্থা যতদিন চলবে ততদিন গ্রামের মানুষ তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। যেহেতু সারা দেশে লকডাউন চলছে, সেখানে গ্রামবাসির এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো। তবে সতর্ক থাকতে হবে কোনো ভাবেই যেন জরুরী প্রয়োজন বাঁধাগ্রস্থ না হয়।