ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে ঘুড়ি উড়িয়ে অলস সময় কাটাচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
  • / 31

মামুন সরকার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশ । করোনার ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর দৃশ্যপট। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো এখন গৃহবন্দী। এই অবস্থায় নিরাপদে থাকতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর এই লম্বা ছুটিতে বাঙালির ঐতিহ্য রুঙিন ঘুড়ি নিয়ে মেতে আছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার তরুণ প্রজন্ম।

শিশু-কিশোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের অনেকেই একসাথে ফাঁকা জায়গায় ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায়।

বিকেল হলেই যেন ভূঞাপুরের বিভিন্ন এলাকায় চলে ঘুড়ি উৎসব। ঘুড়ির সুতোয় কাটাকাটি খেলে কিংবা দূর আকাশে ঘুড়ি পাঠিয়ে এ যেন করোনাকালীন ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করার এক সুস্থ বিনোদন।

এলাকাবাসী বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। আবার বাড়ীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করার ফলে অনেকের মধ্যেই ক্লান্তি ও অবসাদ ভর করছে। অনেকেই ঘুড়ি উড়িয়ে সেই ক্লান্তি ও অবসাদ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। মুক্ত আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে বদ্ধ হয়ে থাকা এক মানসিক যন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মেলছে।

উপজেলার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সৃষ্টি হালদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। আগে নিয়মিত স্কুলে যেতাম। বিকেলে মাঠে খেলাধুলা করতাম। এখন তো আর সেটা সম্ভব নয়। সবসময় রুমে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না। সেজন্য একঘেয়েমী কাটাতে বিকেলে এখন সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী হয়ে জীবন যাপন করছি। গৃহবন্দীদশায় থাকার ফলে মানুষের মনে যে ক্লান্তি ও অবসাদ জমেছে, এই ঘুড়ি ওড়ানোর সময় তা কেটে যায়। মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

ভূঞাপুরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার দুই ছেলে-মেয়ে। এতদিন গৃহবন্দী থেকে হাঁপিয়ে উঠেছে। তাদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার উপায় নেই। একটু অানন্দ দেওয়ার জন্য ওদেরকে নিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য দেখতে চলে এসেছি। এখন খুব ভালো লাগছে। ঘুড়ি ওড়ানো দেখে পেছনে ফেলে আসা সোনালি অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঘুড়ি ওড়ানোর বিষয়ে এক বৃদ্ধ বলেন, এর আগে কখনো এত ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়নি। আগে সাধারণত শীতকাল থেকে বসন্তকাল পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যেত। কিন্তু এবার গরমের মধ্যে গত রমজান মাস থেকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যাচ্ছে। লকডাউনে ঘরবন্দী তরুণরা ঘরে থাকতে থাকতে অতিষ্ট হয়ে অলস সময় পার করছে। এই অলসতা দূর করতেই তরুণদের পাশাপাশি আমরাও ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে আসি।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলে ঘুড়ি উড়িয়ে অলস সময় কাটাচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:২২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

মামুন সরকার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশ । করোনার ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর দৃশ্যপট। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো এখন গৃহবন্দী। এই অবস্থায় নিরাপদে থাকতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর এই লম্বা ছুটিতে বাঙালির ঐতিহ্য রুঙিন ঘুড়ি নিয়ে মেতে আছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার তরুণ প্রজন্ম।

শিশু-কিশোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের অনেকেই একসাথে ফাঁকা জায়গায় ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায়।

বিকেল হলেই যেন ভূঞাপুরের বিভিন্ন এলাকায় চলে ঘুড়ি উৎসব। ঘুড়ির সুতোয় কাটাকাটি খেলে কিংবা দূর আকাশে ঘুড়ি পাঠিয়ে এ যেন করোনাকালীন ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করার এক সুস্থ বিনোদন।

এলাকাবাসী বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। আবার বাড়ীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করার ফলে অনেকের মধ্যেই ক্লান্তি ও অবসাদ ভর করছে। অনেকেই ঘুড়ি উড়িয়ে সেই ক্লান্তি ও অবসাদ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। মুক্ত আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে বদ্ধ হয়ে থাকা এক মানসিক যন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মেলছে।

উপজেলার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সৃষ্টি হালদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। আগে নিয়মিত স্কুলে যেতাম। বিকেলে মাঠে খেলাধুলা করতাম। এখন তো আর সেটা সম্ভব নয়। সবসময় রুমে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না। সেজন্য একঘেয়েমী কাটাতে বিকেলে এখন সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী হয়ে জীবন যাপন করছি। গৃহবন্দীদশায় থাকার ফলে মানুষের মনে যে ক্লান্তি ও অবসাদ জমেছে, এই ঘুড়ি ওড়ানোর সময় তা কেটে যায়। মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

ভূঞাপুরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার দুই ছেলে-মেয়ে। এতদিন গৃহবন্দী থেকে হাঁপিয়ে উঠেছে। তাদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার উপায় নেই। একটু অানন্দ দেওয়ার জন্য ওদেরকে নিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য দেখতে চলে এসেছি। এখন খুব ভালো লাগছে। ঘুড়ি ওড়ানো দেখে পেছনে ফেলে আসা সোনালি অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঘুড়ি ওড়ানোর বিষয়ে এক বৃদ্ধ বলেন, এর আগে কখনো এত ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়নি। আগে সাধারণত শীতকাল থেকে বসন্তকাল পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যেত। কিন্তু এবার গরমের মধ্যে গত রমজান মাস থেকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যাচ্ছে। লকডাউনে ঘরবন্দী তরুণরা ঘরে থাকতে থাকতে অতিষ্ট হয়ে অলস সময় পার করছে। এই অলসতা দূর করতেই তরুণদের পাশাপাশি আমরাও ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে আসি।