ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮ বার পড়া হয়েছে
এমরান হোসেন,জামালপুর প্রতিনিধি।।জামালপুরের সরিষাবাড়ী তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চারদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
যমুনা সার কারখানা সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের বয়লারে লিকেজ দেখা দেয়। তারপর থেকে অ্যামোনিয়া উৎপাদন ও ইউরিয়া উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে।
 কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুদীপ মজুমদার জানান, পাওয়ার প্ল্যান্ট ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারখানার নিজস্ব প্রকৌশলীরা যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে কাজ করছেন। কারখানা স্বাভাবিক উৎপাদনে যেতে কয়দিন সময় লাগবে তা তিনি বলতে না পারলেও চলতি মাসের শেষের দিকে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।
সার কারখানাটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে। দ্রুত যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে চালু না হলে কারখানার কমান্ড এরিয়ায় চলতি ইরি-বোরো মওসুমে সারের সঙ্কট হতে পারে।
এ ব্যাপারে কারখানার বিক্রয় বিভাগের ইনচার্জ ওয়ায়েছুর রহমান জানান, বর্তমানে কারখানায় নিজস্ব উৎপাদিত ৪৭ হাজার ৪৪৪.৩০ মে. টন ও আমদানিকৃত ১৯ হাজার ৪৯৮.৪০ মে. টন সার মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে কমান্ড এরিয়ায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৯ হাজার ৪৬২.৪০ মে. টন। বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৯৫৩.৭০ মে. টন। এ মাসেই উৎপাদন চালু হলে সার সঙ্কট হবে না।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

 দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এমরান হোসেন,জামালপুর প্রতিনিধি।।জামালপুরের সরিষাবাড়ী তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চারদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
যমুনা সার কারখানা সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের বয়লারে লিকেজ দেখা দেয়। তারপর থেকে অ্যামোনিয়া উৎপাদন ও ইউরিয়া উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে।
 কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুদীপ মজুমদার জানান, পাওয়ার প্ল্যান্ট ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারখানার নিজস্ব প্রকৌশলীরা যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে কাজ করছেন। কারখানা স্বাভাবিক উৎপাদনে যেতে কয়দিন সময় লাগবে তা তিনি বলতে না পারলেও চলতি মাসের শেষের দিকে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।
সার কারখানাটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে। দ্রুত যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে চালু না হলে কারখানার কমান্ড এরিয়ায় চলতি ইরি-বোরো মওসুমে সারের সঙ্কট হতে পারে।
এ ব্যাপারে কারখানার বিক্রয় বিভাগের ইনচার্জ ওয়ায়েছুর রহমান জানান, বর্তমানে কারখানায় নিজস্ব উৎপাদিত ৪৭ হাজার ৪৪৪.৩০ মে. টন ও আমদানিকৃত ১৯ হাজার ৪৯৮.৪০ মে. টন সার মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে কমান্ড এরিয়ায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৯ হাজার ৪৬২.৪০ মে. টন। বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৯৫৩.৭০ মে. টন। এ মাসেই উৎপাদন চালু হলে সার সঙ্কট হবে না।