ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে প্রশাসনের জোরালো অভিযান তাল তলা ক্যাফে আগুন: চার বন্ধুর স্বপ্ন পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা ডিএসসিসি কীটনাশক ছিটানো দ্বিগুণ করলো – মশকনিধনে নতুন উদ্যোগ দৌলতপুর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আখতারুজ্জামান সজলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা বরিশাল বিভাগে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে সর্বোচ্চ সংখ্যা পাসপোর্ট দিবো না: মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ উজবেকিস্তান বিশ্বকাপ ২০২৬: খেলোয়াড়দের প্রেসিডেন্টের উপহার গাড়ি বিএসএফের পুশ-ইন: সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন অনুপ্রবেশ কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে নারী নির্যাতন, মামলা ও গ্রেপ্তার – থানায় গ্রামবাসীর ঘেরাও ড. ইউনূসের সঙ্গে বিরোধে নয়, সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার

প্রতিদিন একটি শসা খান, উপকার দেখে চমকে যাবেন!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। আর এই সময়ের জন্য এক অনন্য সুপারফুড হলো শসা। সাধারণ একটি সবজি মনে হলেও, শসার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হজমের উন্নতি, ওজন হ্রাস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

শসার বিশেষ গুণাগুণ

ডিহাইড্রেশন রোধে সাহায্য করে

শসার ৯৫ শতাংশই পানি, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন রোধে সাহায্য করে। গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট হ্রাস পায়, যার কারণে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। শসায় থাকা প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পেশির কার্যক্ষমতা এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

কম ক্যালোরি, বেশি পুষ্টি

একটি মাঝারি আকারের শসায় মাত্র ৩০–৪০ ক্যালোরি থাকে, যা ওজন কমানোর জন্য আদর্শ। শসায় রয়েছে-

ভিটামিন সি : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন কে : হাড়ের সুস্থতায় সহায়ক

পটাশিয়াম : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর

ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ : হজম ও কোষ প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে

হজমে সহায়ক

শসা যদি খোসাসহ খাওয়া হয়, তবে এটি উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার সরবরাহ করে। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া পেট ভরা রাখায় অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

ত্বকের যত্নে শসা

শসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড ও ট্যানিন ত্বকের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এছাড়া সিলিকা উপাদান ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ায় এবং গ্রীষ্মকালে ত্বকের শুষ্কতা ও ফোলাভাব রোধে সহায়তা করে।

খাদ্যতালিকায় শসা যুক্ত করার সহজ উপায়

শসা খুব সহজেই বিভিন্ন রূপে খাদ্যতালিকায় রাখা যায়-

» লেবু ও বিট লবণ মিশিয়ে কাঁচা শসা

» টমেটো, পেঁয়াজ, পুদিনা ও লেবু দিয়ে সালাদ

» ঠান্ডা শসার জুস বা স্মুদি

» দই দিয়ে তৈরি রাইতা

» হুমাস বা পনিরের সঙ্গে লো-কার্ব স্ন্যাকস

» গরমে সুস্থ থাকতে শসা রাখুন ডায়েটে

গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হজম ভালো রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে শসা রাখা অত্যন্ত জরুরি। সহজলভ্য হলেও এর উপকারিতা অসাধারণ। প্রতিদিন একটি শসা খেলে আপনার শরীর অনেকটাই সুস্থ ও সতেজ থাকবে-নিঃসন্দেহে এটি গ্রীষ্মকালীন সুপারফুড!

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিদিন একটি শসা খান, উপকার দেখে চমকে যাবেন!

আপডেট সময় : ০৭:৪০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক :গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। আর এই সময়ের জন্য এক অনন্য সুপারফুড হলো শসা। সাধারণ একটি সবজি মনে হলেও, শসার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হজমের উন্নতি, ওজন হ্রাস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

শসার বিশেষ গুণাগুণ

ডিহাইড্রেশন রোধে সাহায্য করে

শসার ৯৫ শতাংশই পানি, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন রোধে সাহায্য করে। গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট হ্রাস পায়, যার কারণে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। শসায় থাকা প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পেশির কার্যক্ষমতা এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

কম ক্যালোরি, বেশি পুষ্টি

একটি মাঝারি আকারের শসায় মাত্র ৩০–৪০ ক্যালোরি থাকে, যা ওজন কমানোর জন্য আদর্শ। শসায় রয়েছে-

ভিটামিন সি : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন কে : হাড়ের সুস্থতায় সহায়ক

পটাশিয়াম : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর

ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ : হজম ও কোষ প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে

হজমে সহায়ক

শসা যদি খোসাসহ খাওয়া হয়, তবে এটি উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার সরবরাহ করে। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া পেট ভরা রাখায় অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

ত্বকের যত্নে শসা

শসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড ও ট্যানিন ত্বকের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এছাড়া সিলিকা উপাদান ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ায় এবং গ্রীষ্মকালে ত্বকের শুষ্কতা ও ফোলাভাব রোধে সহায়তা করে।

খাদ্যতালিকায় শসা যুক্ত করার সহজ উপায়

শসা খুব সহজেই বিভিন্ন রূপে খাদ্যতালিকায় রাখা যায়-

» লেবু ও বিট লবণ মিশিয়ে কাঁচা শসা

» টমেটো, পেঁয়াজ, পুদিনা ও লেবু দিয়ে সালাদ

» ঠান্ডা শসার জুস বা স্মুদি

» দই দিয়ে তৈরি রাইতা

» হুমাস বা পনিরের সঙ্গে লো-কার্ব স্ন্যাকস

» গরমে সুস্থ থাকতে শসা রাখুন ডায়েটে

গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হজম ভালো রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে শসা রাখা অত্যন্ত জরুরি। সহজলভ্য হলেও এর উপকারিতা অসাধারণ। প্রতিদিন একটি শসা খেলে আপনার শরীর অনেকটাই সুস্থ ও সতেজ থাকবে-নিঃসন্দেহে এটি গ্রীষ্মকালীন সুপারফুড!