বরগুনায় প্রতিবন্ধী স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানবেতর জীবন-যাপন

বরগুনা প্রতিনিধিঃ নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সংক্রমণ  রোধে দেশের সকল স্কুল কলেজ যখন সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছে সরকার ঠিক সেই সময় বরগুনার তালতলীতে প্রতিবন্ধী স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের  মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

জানা গেছে, উপজেলার একমাত্র প্রতিবন্ধী শিশুদের পাঠদানের জন্য ২০১৪ইং মুক্তিযোদ্ধা নজীর হোসেন পাটোয়ারী অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গড়ে ওঠে।সেই থেকেই সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিদর্শনকৃত যাহা বিগত ৬ বছর ধরে এ
বিদ্যালয় ২৪ (চব্বিশ) জন শিক্ষক, কর্মচারী  বিনা বেতনভাতায় প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, থেরাপী ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষনএর মতো গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। স্কুলের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু ভাতা
দিলে ও করোনা ভাইরাসে বন্ধ হয়ে গেছে।এমন পরিস্থিতে শিক্ষক কর্মচারীগন তাদের পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন,
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরমুলধারার শিক্ষায় অংশগ্রহন সহ নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধীরা ভুমিকা রাখতে শুরু করেছে।আমরা পরিজন নিয়ে সংকটময় এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ও বরগুনা জেলা প্রশাসক এবং তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অন্যদিকে প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে
উপজেলায় মোট ১০-১২টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে।এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় দেড়শ থেকে দুইশত শিক্ষক-কর্মচারীরা।করোনা ভাইরাসের কারনে কিন্ডারগার্টেন গুলা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বেতন ও শিক্ষকদের টিউশন বন্ধ হয়ে গেছে।কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, সরকারী বেতন না পেলেও আমরা শিক্ষক।আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করাই। করোনা ভাইরাসে আমাদের স্কুলে পক্ষ থেকে বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তালতলীর এইচ এন প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ শিক্ষক মো.নুরুজ্জামান ফারুক বলেন,শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ভবন বিল বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না।আমাদের শিক্ষকদের জন্য এই মহামারী থেকে বাচঁতে সরকারের কাছে সহযোগিতার দাবি জানাই।

তালতলীর সানরাইস কিন্ডার গার্ডেনের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ অরবিন্দু হালদার বলেন,বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্কুল বন্ধ থাকায় তারা বেতন পাচ্ছে না।কর্মহীন শিক্ষকরা অসহায় অবস্থায় আছে করোনার মুহুর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটে
তাই আমরা শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় রেখে যতটুকু সম্ভব সিলেবাস দিয়ে দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.শফিউল আলম বলেন,সরকারি নিয়মের আওতাভুক্ত না থাকায় সহায়তা করতে পারছি না।তবে আমরা প্রতিবন্ধী ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতি সুদৃষ্টি রাখছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আসাদুজ্জামান বলেন,জাতি গঠনে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বর্পূন।প্রতিবন্ধী ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষদের তালিকা দিতে বলেন।আপনাদের ইউএনও সার্বক্ষনিক পাশে আছে এবং আমি নিজে গিয়ে শিক্ষকদের খাবার বাসায় পৌছে দিব।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title