ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে প্রশাসনের জোরালো অভিযান তাল তলা ক্যাফে আগুন: চার বন্ধুর স্বপ্ন পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা ডিএসসিসি কীটনাশক ছিটানো দ্বিগুণ করলো – মশকনিধনে নতুন উদ্যোগ দৌলতপুর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আখতারুজ্জামান সজলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা বরিশাল বিভাগে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে সর্বোচ্চ সংখ্যা পাসপোর্ট দিবো না: মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ উজবেকিস্তান বিশ্বকাপ ২০২৬: খেলোয়াড়দের প্রেসিডেন্টের উপহার গাড়ি বিএসএফের পুশ-ইন: সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন অনুপ্রবেশ কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে নারী নির্যাতন, মামলা ও গ্রেপ্তার – থানায় গ্রামবাসীর ঘেরাও ড. ইউনূসের সঙ্গে বিরোধে নয়, সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার

বিসিবিতে দ্বিতীয় দফায় অভিযানের পর যা জানাল দুদক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক : গেল এপ্রিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। মাসখানেক পর আবারও বিসিবিতে অনুসন্ধানে গিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। জানা গেছে, এবার তারা বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের দল বাছাই প্রক্রিয়া এবং বোর্ডের ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ভেঙে অর্থ স্থানান্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন।

শনিবার (১৭ মে) বিসিবি কার্যালয়ে অভিযানের ফাঁকে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তর থেকে রেকর্ড সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখনো পুরো অনুসন্ধান শেষ হয়নি—কয়েকটি বিষয় বাকি রয়েছে।’

সম্প্রতি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে দল অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে আনা পরিবর্তন ও সম্ভাব্য অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ অভিযান জানিয়ে দুদক কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ‘আগে যেখানে তুলনামূলক সহজ নিয়মে দল অন্তর্ভুক্তির সুযোগ ছিল, সেখানে ২০২২ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বাছাই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলা হয়। এর ফলে কিছু নির্দিষ্ট দল বিশেষ সুবিধা পেলেও অনেক দল বঞ্চিত হয়েছে। এই অনিয়মের প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটার তৈরির পাইপলাইনে, যা সংকুচিত হয়ে পড়েছে।’

‘বর্তমানে এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা অনেক সম্ভাবনাময় দল ও ক্রিকেটারের পথ রুদ্ধ করছে। বিষয়গুলো আমরা যাচাই করছি। পর্যালোচনা না করে কারও নাম প্রকাশ করা হবে না’-যোগ করেন এই দুদক কর্মকর্তা।

এছাড়া বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ কয়েকটি ব্যাংকে স্থানান্তর ইস্যুতে সম্প্রতি জলঘোলা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেও দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজু আহমেদের ভাষায়, ‘কীভাবে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে, কারা এতে স্বাক্ষর করেছেন, এসব বিষয়ে বিসিবির গঠনতন্ত্র কী বলে—তা বিশ্লেষণ করা হবে। তারা বলছেন (বিসিবি) নিরাপদ তিন ধরনের ব্যাংকে অর্থ রাখা হয়েছে। এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটিও আমরা যাচাই করব।’

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া সংস্থা বিসিবিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার ব্যাপারে দুদক দৃঢ় অবস্থানে থাকবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা, ‘আমরা চাই বিসিবি আরও স্বচ্ছ, সুগঠিত এবং আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগঠন হোক, যেখান থেকে মানসম্পন্ন ক্রিকেটার উঠে আসবে, দেশের সম্মান বাড়বে। যেসব ব্যক্তি অনিয়মে জড়িত, তাদের আমরা আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাই—যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্বলতা আর না ঘটে।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিসিবিতে দ্বিতীয় দফায় অভিযানের পর যা জানাল দুদক

আপডেট সময় : ০৮:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : গেল এপ্রিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। মাসখানেক পর আবারও বিসিবিতে অনুসন্ধানে গিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। জানা গেছে, এবার তারা বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের দল বাছাই প্রক্রিয়া এবং বোর্ডের ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ভেঙে অর্থ স্থানান্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন।

শনিবার (১৭ মে) বিসিবি কার্যালয়ে অভিযানের ফাঁকে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তর থেকে রেকর্ড সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখনো পুরো অনুসন্ধান শেষ হয়নি—কয়েকটি বিষয় বাকি রয়েছে।’

সম্প্রতি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে দল অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে আনা পরিবর্তন ও সম্ভাব্য অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ অভিযান জানিয়ে দুদক কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ‘আগে যেখানে তুলনামূলক সহজ নিয়মে দল অন্তর্ভুক্তির সুযোগ ছিল, সেখানে ২০২২ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বাছাই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলা হয়। এর ফলে কিছু নির্দিষ্ট দল বিশেষ সুবিধা পেলেও অনেক দল বঞ্চিত হয়েছে। এই অনিয়মের প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটার তৈরির পাইপলাইনে, যা সংকুচিত হয়ে পড়েছে।’

‘বর্তমানে এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা অনেক সম্ভাবনাময় দল ও ক্রিকেটারের পথ রুদ্ধ করছে। বিষয়গুলো আমরা যাচাই করছি। পর্যালোচনা না করে কারও নাম প্রকাশ করা হবে না’-যোগ করেন এই দুদক কর্মকর্তা।

এছাড়া বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ কয়েকটি ব্যাংকে স্থানান্তর ইস্যুতে সম্প্রতি জলঘোলা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেও দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজু আহমেদের ভাষায়, ‘কীভাবে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে, কারা এতে স্বাক্ষর করেছেন, এসব বিষয়ে বিসিবির গঠনতন্ত্র কী বলে—তা বিশ্লেষণ করা হবে। তারা বলছেন (বিসিবি) নিরাপদ তিন ধরনের ব্যাংকে অর্থ রাখা হয়েছে। এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটিও আমরা যাচাই করব।’

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া সংস্থা বিসিবিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার ব্যাপারে দুদক দৃঢ় অবস্থানে থাকবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা, ‘আমরা চাই বিসিবি আরও স্বচ্ছ, সুগঠিত এবং আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগঠন হোক, যেখান থেকে মানসম্পন্ন ক্রিকেটার উঠে আসবে, দেশের সম্মান বাড়বে। যেসব ব্যক্তি অনিয়মে জড়িত, তাদের আমরা আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাই—যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্বলতা আর না ঘটে।’