ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে এবারের কোরবানিতে চমক দেখাচ্ছে সাত উট

যশোরে এবারের কোরবানিতে চমক দেখাচ্ছে সাত উট

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য যশোরে চমক নিয়ে এসেছে মরুর জাহাজখ্যাত সাতটি উট।
এর প্রতিটির দাম হাঁকানো হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা করে।

যার মধ্যে একটি বিক্রিও হয়ে গেছে।
প্রতিদিন মানুষ উটগুলো দেখতে ভিড় করছেন সীমান্তবর্তী বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের নাসিরের খামারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন প্রায় এক বছর আগে সৌদি আরব থেকে সাতটি উট আমদানি করে পুটখালীতে নিজের খামারে লালন-পালন করছেন। আগে থেকে তার বাণিজ্যিক গরুর খামার রয়েছে।

নাসির উদ্দিন জানান, শখ করেই তিনি উটগুলো আমদানি করেছিলেন। বর্তমানে এর প্রতিটির উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। সেগুলো এখন কোরবানির জন্য পুরো প্রস্তুত। খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন। প্রতিটি উটের মূল্য তিনি নির্ধারণ করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। একটি বিক্রিও হয়ে গেছে।

কত টাকায় এগুলো আমদানি করা হয়েছিল তা অবশ্য তিনি জানাননি। শুধু বলেছেন, উটগুলো গত এক বছর ধরে পরম যত্নে লালন-পালন করা হয়েছে। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
খামারের শ্রমিকেরা জানান, ঈদুল আজহার জন্য উটগুলোকে বিশেষভাবে যত্ন করে সুস্থ রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন পশুগুলোকে গোসল করানো হয়। ভুট্টা, ঘাস আর ছোলা খাওয়ানো হয় নিয়মিত। বিশেষ তালিকা মেনেই উটগুলোকে প্রতিদিন খাবার খাওয়ানো হয় আর যত্ন নেওয়া হয়।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা বলেন, উট একটি মূল্যবান প্রাণী। যেহেতু এটি এদেশের প্রাণী না, সে কারণে বিশেষ যত্নের ব্যবস্থা নিতে হয়। এগুলোর সুস্থতায় নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে যাতে ইনজেকশন পুশ করে মোটাতাজা না করা হয়।
এদিকে গত এক বছর থেকেই পুটখালী এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষের মধ্যে উট নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন নাসিরের খামারে ছুটে যাচ্ছেন মরুর জাহাজ দেখার জন্য। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ-অনেকেই উটগুলোর সঙ্গে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

নাসির উদ্দিন ও খামারের কর্মীরা জানান, এগুলো মাঝেমধ্যে বিরক্তির পর্যায়ে চলে গেলেও তারা উপভোগই করেন। এমন একটি প্রাণী, যা আমাদের দেশে পাওয়া যায় না, তা দেখতে সাধারণ মানুষ আসবেই।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

যশোরে এবারের কোরবানিতে চমক দেখাচ্ছে সাত উট

যশোরে এবারের কোরবানিতে চমক দেখাচ্ছে সাত উট

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

জেলা প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য যশোরে চমক নিয়ে এসেছে মরুর জাহাজখ্যাত সাতটি উট।
এর প্রতিটির দাম হাঁকানো হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা করে।

যার মধ্যে একটি বিক্রিও হয়ে গেছে।
প্রতিদিন মানুষ উটগুলো দেখতে ভিড় করছেন সীমান্তবর্তী বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের নাসিরের খামারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন প্রায় এক বছর আগে সৌদি আরব থেকে সাতটি উট আমদানি করে পুটখালীতে নিজের খামারে লালন-পালন করছেন। আগে থেকে তার বাণিজ্যিক গরুর খামার রয়েছে।

নাসির উদ্দিন জানান, শখ করেই তিনি উটগুলো আমদানি করেছিলেন। বর্তমানে এর প্রতিটির উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। সেগুলো এখন কোরবানির জন্য পুরো প্রস্তুত। খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন। প্রতিটি উটের মূল্য তিনি নির্ধারণ করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। একটি বিক্রিও হয়ে গেছে।

কত টাকায় এগুলো আমদানি করা হয়েছিল তা অবশ্য তিনি জানাননি। শুধু বলেছেন, উটগুলো গত এক বছর ধরে পরম যত্নে লালন-পালন করা হয়েছে। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
খামারের শ্রমিকেরা জানান, ঈদুল আজহার জন্য উটগুলোকে বিশেষভাবে যত্ন করে সুস্থ রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন পশুগুলোকে গোসল করানো হয়। ভুট্টা, ঘাস আর ছোলা খাওয়ানো হয় নিয়মিত। বিশেষ তালিকা মেনেই উটগুলোকে প্রতিদিন খাবার খাওয়ানো হয় আর যত্ন নেওয়া হয়।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা বলেন, উট একটি মূল্যবান প্রাণী। যেহেতু এটি এদেশের প্রাণী না, সে কারণে বিশেষ যত্নের ব্যবস্থা নিতে হয়। এগুলোর সুস্থতায় নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে যাতে ইনজেকশন পুশ করে মোটাতাজা না করা হয়।
এদিকে গত এক বছর থেকেই পুটখালী এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষের মধ্যে উট নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন নাসিরের খামারে ছুটে যাচ্ছেন মরুর জাহাজ দেখার জন্য। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ-অনেকেই উটগুলোর সঙ্গে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

নাসির উদ্দিন ও খামারের কর্মীরা জানান, এগুলো মাঝেমধ্যে বিরক্তির পর্যায়ে চলে গেলেও তারা উপভোগই করেন। এমন একটি প্রাণী, যা আমাদের দেশে পাওয়া যায় না, তা দেখতে সাধারণ মানুষ আসবেই।