রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে দুই বাংলার ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :  কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে দুই বাংলার আয়োজনে বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়েবিনারের শিরোনাম ছিলো ‘বঙ্গভঙ্গ, রবীন্দ্রনাথ এবং বর্তমান’।

দীপন দাস ও রাগীব রহমানের পরিকল্পনায় এবং রাগীব রহমানের সঞ্চালনায় গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘জেসিএমএস টিভি’ এবং ভারতের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘অল অ্যাবাউট কলকাতা’ থেকে একযোগে এই ওয়েবিনার সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

ওয়েবিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ভারতের নৃত্যশিল্পী, নৃত্য প্রশিক্ষক, কোরিওগ্রাফার ও সমাজকর্মী অলকানন্দ রায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অভ্র বসু প্রমুখ। এছাড়াও বাংলাদেশের উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, আবৃত্তিশিল্পী, অভিনয়শিল্পী ও গবেষক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও আকস্মিক শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেন নি।

ওয়েবিনারের শুরুতেই অভ্র বসু বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের সম্পৃক্ততা এবং বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে তাঁর রচিত গানগুলো ঐ সময়ে কীভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো এবং বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও ঐ গানগুলো কতোটা প্রাসঙ্গিক, সেই সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, যারা এসব মনগড়া কথা বলে, তাদের কাছে এই সম্পর্কিত কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই। যে সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়, সেই সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ উপস্থিতই ছিলেন না। বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের দ্বারা সংবর্ধিত হন।

অলকানন্দা রায় তাঁর জীবনে রবীন্দ্রনাথের বিপুল প্রভাব এবং অবদানের কথা উল্লেখ করেন। দুই বাংলার সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে রাবীন্দ্রিকচর্চার গুরুত্বও তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

পরিশেষে অনুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়কারী দীপন দাস সকলকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ এবং কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি সমবেত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অবমুক্ত করা হয়। নিজ নিজ ঘরে বসেই পরিবেশনাটিতে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ থেকে স্বর্গ্য, শুভাশিষ, ধ্রুব, প্রমিতি, হাবিবা এবং ভারত থেকে সৌপ্তিক, সম্পুর্না, অনির্বান, রতন ও চন্দ্রাবলী।

সম্পূর্ণ ওয়েবিনারের লিংক:

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title