র‌্যাব-১১’র অভিযানে দেড় কোটি টাকার ইয়াবাসহ ৪ মাদক পাচারকারী গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে র‌্যাব-১১’র মাদক বিরোধী অভিযানে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৪৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চার মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাস এবং তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রয়ের নগদ ১২৭০০ টাকা জব্দ করা হয় ।

শনিবার (২১ মার্চ) ভোর রাতে বন্দর থানাধীন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় র‌্যাব-১১’র সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার মশাং এলাকার জামাল হোসেন (৩১), বাবরখানা এলাকার তানভীর হাসান (৩৪), কক্সবাজার জেলার সদর থানার ইসলামপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম (২০) ও একই জেলার চকরিয়া থানার ভরামহরী এলাকার জামাল উদ্দিন (৩২)।

একই দিন বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র‌্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে অধিনায়ক লে: কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার, পিবিজিএম, পিবিজিএমএস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিনায়ক লে: কর্ণেল ইমরান উল­াহ সরকার জানান, গোপনসূত্রে জানা যায় কক্সবাজারের এক ইয়াবা পাচারকারী চক্র মাইক্রোবাসযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১’র একটি আভিযানিক দল শনিবার রাতে ওই এলাকায় ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। রাত আড়াইটার সময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনে থামে এবং সন্ধিগ্ধ ২জন লোক মাইক্রোবাস থেকে ২টি পোটলা গ্রহন করার সময় হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দখল থেকে উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন মাইক্রোবাসটি পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাবের আভিযানিক দল ব্যারিকেড দিয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করে। মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা সন্ধিগ্ধ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে পেছনের শাটার দরজার প্যাডের ভিতরে রাখা ৩৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে অভিনব কৌশলে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা আনয়ন করে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এছাড়াও তারা বরিশাল অঞ্চলেও নিয়মিত ইয়াবা সরবরাহ করত। জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title