ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পোপ ফ্রান্সিস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / 71

সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পোপ ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র আল-ইত্তিহাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার অনুভূতি তুলে ধরেন।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পোড়ানোর ঘটনা পোপকে চরমভাবে দুঃখ দিয়েছে। তাছাড়া বাক্স্বাধীনতার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তিনি এ ধরনের আচরণ প্রত্যাখ্যানও করেছেন। পোপ বলেন, ‘পবিত্র বলে বিবেচিত যে কোনো গ্রন্থকে সম্মান করা উচিত। আমি এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বোধ করি। বাক্স্বাধীনতার নামে কুরআন পোড়ানোর অনুমোদন দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অন্যদের বিরক্ত করার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো উচিত নয়।’ বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মগুরু আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো প্রত্যেক মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানানো এবং সবার প্রতি সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ করা।’

সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিক্ষোভের সময় পবিত্র কুরআনকে অবমাননা করার একটি কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২৮ জুন ঈদুল আজহার দিনে ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সলমন মোমিকা মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কুরআন পোড়ান। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর আগেও সুইডেনে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনা ঘটেছে ঈদুল আজহার কাছাকাছি সময়ে, যখন পবিত্র মক্কায় লাখ লাখ মুসলমান হজ পালন করছেন।

এরই মধ্যে সুইডেনে পবিত্র কুরআন পোড়ানো এবং স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে নিযুক্ত সুইডিশ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে। এছাড়া নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে পুরো আরব বিশ্বসহ অন্য মুসলিম দেশগুলোতে। কুরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানিয়েছে মিশর, ইরাক, জর্ডান, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও ফিলিস্তিন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পোপ ফ্রান্সিস

আপডেট সময় : ১০:২৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পোপ ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র আল-ইত্তিহাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার অনুভূতি তুলে ধরেন।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পোড়ানোর ঘটনা পোপকে চরমভাবে দুঃখ দিয়েছে। তাছাড়া বাক্স্বাধীনতার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তিনি এ ধরনের আচরণ প্রত্যাখ্যানও করেছেন। পোপ বলেন, ‘পবিত্র বলে বিবেচিত যে কোনো গ্রন্থকে সম্মান করা উচিত। আমি এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বোধ করি। বাক্স্বাধীনতার নামে কুরআন পোড়ানোর অনুমোদন দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অন্যদের বিরক্ত করার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো উচিত নয়।’ বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মগুরু আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো প্রত্যেক মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানানো এবং সবার প্রতি সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ করা।’

সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিক্ষোভের সময় পবিত্র কুরআনকে অবমাননা করার একটি কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২৮ জুন ঈদুল আজহার দিনে ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সলমন মোমিকা মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কুরআন পোড়ান। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর আগেও সুইডেনে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনা ঘটেছে ঈদুল আজহার কাছাকাছি সময়ে, যখন পবিত্র মক্কায় লাখ লাখ মুসলমান হজ পালন করছেন।

এরই মধ্যে সুইডেনে পবিত্র কুরআন পোড়ানো এবং স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে নিযুক্ত সুইডিশ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে। এছাড়া নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে পুরো আরব বিশ্বসহ অন্য মুসলিম দেশগুলোতে। কুরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানিয়েছে মিশর, ইরাক, জর্ডান, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও ফিলিস্তিন।