ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপরাধমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে আশার আলো পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / 2

নারায়ণগঞ্জ জেলায় অপরাধীদের ভীত নড়ে বসেছে; জনমনে আশার আলো অপরাধমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন!
বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পনগরী ও ঐতিহ্যবাহী জেলা নারায়ণগঞ্জ এক সময় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির জন্য খ্যাত ছিল।

কিন্তু গত কয়েক বছরে এই নগরী পরিণত হয়েছিল অপরাধীদের এক অভয়ারণ্যে।

চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও বিশেষ করে মাদক ব্যবসা নারায়ণগঞ্জের সামাজিক কাঠামোকে নষ্ট করে দিচ্ছিল অক্টোপাসের মতো।

তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) দায়িত্ব গ্রহণের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে নতুন আশা জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে।

অপরাধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আতঙ্ক, আর জনগণের মনে ফুটেছে নিরাপত্তার আলোর শিখা।

কঠোর নির্দেশনায় মাঠে পুলিশ
২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অপরাধমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।

তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) সকল পুলিশ সদস্যকে কঠোর নির্দেশ দেন-

“মাদক, ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ ও দুষ্কৃতিকারীদের কোনো ছাড় নেই; যেই হোক না কেন, আইনের আওতায় আনতে হবে।”

তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সফল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

মাদক বিরোধী অভিযানে বড় বড় ডিলারদের ধরতে কাজ চলছে। যারা ধরা পরেছে তাদের কল লিস্ট চেক করে কল ট্রেকিং করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যানজট নিরসন ও জনসেবায় নজির-
নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের সমস্যা যানজট নিরসনেও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সড়ক দখল, ফুটপাত দখল ও অনিয়মিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে।

উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকলেও তিনি নাগরিক ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন।

ধর্মীয় উৎসবে শান্তির নজির-
দায়িত্ব গ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব।

এ সময় জেলা পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন হয়।

জেলার পূজা উদযাপন কমিটিগুলো পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে তার নেতৃত্বের জন্য।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা-
জেলা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, র‍্যাব-১১ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বড় বড় মাদক আস্তানায় অভিযান চলছে।

ইতিমধ্যেই বহু কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। মাদকদ্রব্য কোথা থেকে আসে, কারা শেল্টার দেয়, কোথায় সরবরাহ করা হয় এসব তথ্য বের করতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এলাকার সাধারণ মানুষ দাবি জানাচ্ছে-
“নারায়ণগঞ্জ জেলার সাত থানার ওসি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হয়ে বড় বড় মাদক ডিলারদের ধরতে হবে এবং তাদের শেল্টারদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষ এখন আশাবাদী যে পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এবার সত্যিই সম্ভব হবে “অপরাধ ও মাদকমুক্ত নারায়ণগঞ্জ” গড়ে তোলা।

কারণ তিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ও সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে ঘনিষ্ঠভাবে জানেন এই শহরের রাস্তাঘাট, মানুষ, ইতিহাস তাঁর কাছে পরিচিত।

নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন-
“নারায়ণগঞ্জের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার অঙ্গীকার। মাদক, অপরাধ, কিশোর গ্যাং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসী এখন একটাই প্রত্যাশা করছে-

নারায়ণগঞ্জ জেলার সাত থানার পুলিশ অফিসাররা যদি একযোগে মাঠে নামেন, মাদক ও অপরাধীদের শেল্টারদাতাসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনতে পারেন, তবে খুব শিগগিরই দেখা যাবে একটি অপরাধমুক্ত, নিরাপদ ও সুন্দর নারায়ণগঞ্জ জেলা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অপরাধমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে আশার আলো পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলায় অপরাধীদের ভীত নড়ে বসেছে; জনমনে আশার আলো অপরাধমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন!
বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পনগরী ও ঐতিহ্যবাহী জেলা নারায়ণগঞ্জ এক সময় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির জন্য খ্যাত ছিল।

কিন্তু গত কয়েক বছরে এই নগরী পরিণত হয়েছিল অপরাধীদের এক অভয়ারণ্যে।

চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও বিশেষ করে মাদক ব্যবসা নারায়ণগঞ্জের সামাজিক কাঠামোকে নষ্ট করে দিচ্ছিল অক্টোপাসের মতো।

তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) দায়িত্ব গ্রহণের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে নতুন আশা জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে।

অপরাধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আতঙ্ক, আর জনগণের মনে ফুটেছে নিরাপত্তার আলোর শিখা।

কঠোর নির্দেশনায় মাঠে পুলিশ
২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অপরাধমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।

তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) সকল পুলিশ সদস্যকে কঠোর নির্দেশ দেন-

“মাদক, ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ ও দুষ্কৃতিকারীদের কোনো ছাড় নেই; যেই হোক না কেন, আইনের আওতায় আনতে হবে।”

তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সফল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

মাদক বিরোধী অভিযানে বড় বড় ডিলারদের ধরতে কাজ চলছে। যারা ধরা পরেছে তাদের কল লিস্ট চেক করে কল ট্রেকিং করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যানজট নিরসন ও জনসেবায় নজির-
নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের সমস্যা যানজট নিরসনেও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সড়ক দখল, ফুটপাত দখল ও অনিয়মিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে।

উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকলেও তিনি নাগরিক ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন।

ধর্মীয় উৎসবে শান্তির নজির-
দায়িত্ব গ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব।

এ সময় জেলা পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন হয়।

জেলার পূজা উদযাপন কমিটিগুলো পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে তার নেতৃত্বের জন্য।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা-
জেলা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, র‍্যাব-১১ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বড় বড় মাদক আস্তানায় অভিযান চলছে।

ইতিমধ্যেই বহু কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। মাদকদ্রব্য কোথা থেকে আসে, কারা শেল্টার দেয়, কোথায় সরবরাহ করা হয় এসব তথ্য বের করতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এলাকার সাধারণ মানুষ দাবি জানাচ্ছে-
“নারায়ণগঞ্জ জেলার সাত থানার ওসি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হয়ে বড় বড় মাদক ডিলারদের ধরতে হবে এবং তাদের শেল্টারদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষ এখন আশাবাদী যে পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এবার সত্যিই সম্ভব হবে “অপরাধ ও মাদকমুক্ত নারায়ণগঞ্জ” গড়ে তোলা।

কারণ তিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ও সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে ঘনিষ্ঠভাবে জানেন এই শহরের রাস্তাঘাট, মানুষ, ইতিহাস তাঁর কাছে পরিচিত।

নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন-
“নারায়ণগঞ্জের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার অঙ্গীকার। মাদক, অপরাধ, কিশোর গ্যাং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসী এখন একটাই প্রত্যাশা করছে-

নারায়ণগঞ্জ জেলার সাত থানার পুলিশ অফিসাররা যদি একযোগে মাঠে নামেন, মাদক ও অপরাধীদের শেল্টারদাতাসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনতে পারেন, তবে খুব শিগগিরই দেখা যাবে একটি অপরাধমুক্ত, নিরাপদ ও সুন্দর নারায়ণগঞ্জ জেলা।