ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত25
ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত25

- আপডেট সময় : ০৯:৫৭:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান।
গত বছরের ঈদুল আজহার তুলনায় এ বছর সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত এবং ১১৮২ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন।
নৌপথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৯৪ জন আহত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৬ শতাংশ বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩১ মে থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৪ জুন পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন। বিগত ২০২৪ সালের ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন নিহত এবং ৭৬২ জন আহত হয়েছিলেন।
বিগত ঈদুল আজহার সঙ্গে তুলনা করলে সড়ক দুর্ঘটনা ২২.৬৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬.০৭ শতাংশ, আহত ৫৫.১১ শতাংশ বেশি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত এবং ১৪৮ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫.৩৫ শতাংশ।
এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০ শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, সাতজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পাঁচজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক, একজন প্রকৌশলী, আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
আরও বলা হয়, মোট যানবাহনের ২৬.৫৪ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৯.১১ শতাংশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ১৮.৫৮ শতাংশ বাস, ১৩.৬২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৭.৪৩ শতাংশ কার-মাইক্রো, ৭.৬১ শতাংশ নছিমন-করিমন ও ৭.০৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।
দুর্ঘটনার ২৮.২৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪০.৬৩ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২০.০৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায়, ০.৭৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনে এবং ১০.২৯ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮.২৩ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮.৪৯ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. ইয়াছিন চৌধুরী, ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাদল আহমেদ, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, জিএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।