ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ আজ

- আপডেট সময় : ০১:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ৫ আগস্ট, ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব এক গণজোয়ার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল। এই দিনটি স্মরণে সরকার আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করছে, যা এবারই প্রথমবারের মতো সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সারাদেশব্যাপী টানা ছাত্র আন্দোলন, যুব বিদ্রোহ ও নাগরিক প্রতিবাদের মাধ্যমে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটে—তা ৫ আগস্টে চূড়ান্ত রূপ পায়। সেদিন সন্ধ্যায় লাখো মানুষ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জমায়েত হয়ে ঘোষণা করে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর সূচনা।
এই অভ্যুত্থানের ফলে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী রাজনৈতিক ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন গণমুখী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
আজকের দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ সন্ধ্যা ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণা’-এর পুনঃপাঠ। এছাড়াও দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—
* ‘গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের নতুন দিগন্ত’ বিষয়ক সেমিনার
* শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন
*দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে কনসার্ট: ‘জাগো জনতা’
*গণশিল্প প্রদর্শনী, পোস্টার-আর্কাইভ ও পথনাট্য
সরকার ২০২৫ সাল থেকে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। এটি এখন থেকে প্রতি বছর জাতীয়ভাবে পালিত হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অভ্যুত্থান ছিল একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন যার প্রভাব আগামী কয়েক দশকজুড়ে দৃশ্যমান থাকবে।
আজকের এই দিন শুধু একটি রাজনৈতিক পালাবদলের স্মৃতি নয়, বরং এটি একটি চেতনাবোধের পুনর্জাগরণ—যেখানে নাগরিক, তরুণ ও নারী সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রমাণ করেছে, জনগণই প্রকৃত শক্তির উৎস।