ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কানাডায় বিনা শুল্কে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ বাড়ল ২০৩৪ সাল পর্যন্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট। নতুন করে এই শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশ কানাডার বাজারে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।

কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রপ্তানিকে বলা হয় জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি), যা বাংলাদেশ ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পেয়ে আসছে। কানাডার বাজারে পণ্য রপ্তানির এই শুল্ক সুবিধা ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কানাডার সরকার প্রতি ১০ বছর অন্তর স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিনা শুল্কে দেশটির বাজারে পণ্য রপ্তানির সুবিধা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কানাডা সরকার এ ঘোষণা দিল।

কানাডা সরকারের অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তম সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানও আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিনা শুল্কে আগামী ১০ বছর কানাডার বাজারে পণ্য রপ্তানির এই খবর বিজিএমইএর সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের জন্য ভালো খবর হলো, কানাডার পার্লামেন্ট যে আর্থিক বিল অনুমোদন করেছে সেখানে জিপিটির মেয়াদ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা আমাদের বাণিজ্যিক গতিশীলতা, অর্থনীতির সার্বিক বিষয়সহ স্থায়ীত্বের মত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছে।’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির অন্যতম বড় বাজার কানাডা। সম্প্রতি গত হওয়া ২০২২–২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কানাডার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে কানাডায় ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে যা ২০২১–২২ অর্থবছরে ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) আওতায় কানাডার সরকার আরও একটি বিশেষ স্কিম চালু করেছে যা জিপিটি প্লাস নামে পরিচিত। এই জিপিটি প্লাসের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলো যদি শ্রমিকের অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো মেনে চলে তাহলে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) বাইরে আরও অতিরিক্ত অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। যদিও সেই সুবিধাগুলো কী সেটি এখনো জানা যায়নি।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কানাডার বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর জন্য কানাডার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে এখন যে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং টেকসই কর্মক্ষেত্রসহ আমাদের দেশে সামগ্রিক অবকাঠামোর অগ্রগতি হচ্ছে, এই অবস্থায় আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কানাডায় বিনা শুল্কে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ বাড়ল ২০৩৪ সাল পর্যন্ত

আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট। নতুন করে এই শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশ কানাডার বাজারে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।

কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রপ্তানিকে বলা হয় জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি), যা বাংলাদেশ ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পেয়ে আসছে। কানাডার বাজারে পণ্য রপ্তানির এই শুল্ক সুবিধা ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কানাডার সরকার প্রতি ১০ বছর অন্তর স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিনা শুল্কে দেশটির বাজারে পণ্য রপ্তানির সুবিধা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কানাডা সরকার এ ঘোষণা দিল।

কানাডা সরকারের অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তম সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানও আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিনা শুল্কে আগামী ১০ বছর কানাডার বাজারে পণ্য রপ্তানির এই খবর বিজিএমইএর সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের জন্য ভালো খবর হলো, কানাডার পার্লামেন্ট যে আর্থিক বিল অনুমোদন করেছে সেখানে জিপিটির মেয়াদ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা আমাদের বাণিজ্যিক গতিশীলতা, অর্থনীতির সার্বিক বিষয়সহ স্থায়ীত্বের মত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছে।’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির অন্যতম বড় বাজার কানাডা। সম্প্রতি গত হওয়া ২০২২–২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কানাডার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে কানাডায় ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে যা ২০২১–২২ অর্থবছরে ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) আওতায় কানাডার সরকার আরও একটি বিশেষ স্কিম চালু করেছে যা জিপিটি প্লাস নামে পরিচিত। এই জিপিটি প্লাসের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলো যদি শ্রমিকের অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো মেনে চলে তাহলে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) বাইরে আরও অতিরিক্ত অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। যদিও সেই সুবিধাগুলো কী সেটি এখনো জানা যায়নি।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কানাডার বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর জন্য কানাডার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে এখন যে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং টেকসই কর্মক্ষেত্রসহ আমাদের দেশে সামগ্রিক অবকাঠামোর অগ্রগতি হচ্ছে, এই অবস্থায় আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’