কুড়িগ্রামে বিএনপির বিজয় র্যালি ও পথসভা, স্বৈরাচারের পতনের ডাক
কুড়িগ্রামে বিএনপির বিজয় র্যালি ও পথসভা, স্বৈরাচারের পতনের ডাক

- আপডেট সময় : ০৭:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বিএনপির বিজয় র্যালি ও পথসভা, স্বৈরাচারের পতনের ডাক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে, আজ ৬ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম শহরে এক বিশাল বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং আগামী দিনের আন্দোলনের দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
পথসভায় বক্তারা বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে খুন, গুম, হত্যা, দুর্নীতি, লুটপাট এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সরকারের জন্য এক ভয়ংকর বার্তা ছিল, যা শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে।
বক্তাদের মতে, এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, কোনো স্বৈরাচারী সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে চিরদিন টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাস প্রমাণ করে—গণমানুষের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি।
এসময় বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুবদল নেতা হাসিবুর রহমান হাসিবসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল ও মৎস্যজীবীদলের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি গণমানুষের প্রতিনিধিত্বকারী একটি আন্দোলনের নাম। দল যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিতে চায়, তবে প্রতিটি নেতাকর্মীকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি ও রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখার অনুসরণ করতে হবে।
তারা বলেন, এ রূপরেখা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যম নয় বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের দিকনির্দেশনা। এখন সময় এসেছে ভেতরে-বাইরে সক্রিয় ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার।
বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আর কোনো দমন-পীড়ন মেনে নেওয়া হবে না। জনগণ目目 আজ জেগে উঠেছে, তারা জানে কীভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়। তারা বলেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের মতপ্রকাশ ও অংশগ্রহণের অধিকার কেড়ে নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
র্যালিতে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মহিলা দল, কৃষকদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
র্যালি চলাকালীন শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষ হাত নেড়ে, স্লোগানে স্লোগানে অভিবাদন জানায়। পথসভায় “দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও”, “খুন-গুমের বিচার চাই”, “স্বৈরাচার নিপাত যাক” প্রভৃতি স্লোগান ধ্বনিত হয়।
সভায় দলীয় নেতারা আগামী দিনের আন্দোলনকে সফল করতে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, শিগগিরই আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হবে ইনশাআল্লাহ।