কুমারখালীতে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর পরিবারের উপর হামলা আহত -৭

- আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া কুমারখালীতে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের ৭ জনকে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার ( ৫জুন) রাত ৮ টার দিকে কুমারখালী নন্দুলালপুর ইউনিয়নের এলঙী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্ৰামের স্বপন হোসেন (৪৫) এর ছেলে ডলার হোসেন (২৭) ও মোঃ উজ্জ্বল হোসেন, মৃত- করিম ডাক্তারের ছেলে স্বপন হোসেন (৪০) ।
জানা যায়, কুমারখালী ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়াতের পথে ডলার হোসেন প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি ডলার এর পরিবারকে জানানো হলে ডলার ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় এই সময় ৭ জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ফুপু আকলিমা খাতুন বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের মেয়ে ফাজিল মাদ্রাসা অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। স্বপন এর ছেলে ডলার দীর্ঘদিন যাবত রাস্তা ঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ডলারের পরিবারের কাছে জানানো হলে। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমার (মা) রুবিয়া খাতুন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা আমাদের উপর হামলা করে ৭ জন কে গুরতর আহত করে। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, ডলার আমাকে রাস্তা ঘাটে দেখা হলেই আজেবাজে কথা বলে। আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। উত্ত্যক্তের মাত্রা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে বিষয়টি আমার পরিবারকে জানায়। আমার পরিবারের লোকজন ডলারকে নিষেধ করলে । তারা আমাদের বাড়িতে এসে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )সোলাইমান শেখ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।