ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গুরুদাসপুরে কৃষকের পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০ ৫ বার পড়া হয়েছে

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : পুর্ববিরোধের জের ধরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার দীঘদ্বারিয়া বিলে উঠতি পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রতিপক্ষ উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের আয়ুব আলী ও রমজান হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জমির মালিক রফিক সরদার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে ওই অভিযোগটি দিয়েছেন।

ধানচাষি রফিক সরদার অভিযোগ করেন, যোগেন্দ্রনগর মৌজায় অবস্থিত চারবিঘা জমিতে ইরি-বোর ধানের চাষ করেছিলেন। ধানওগুলো কাটার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্রসহ ১৫-২০জন লোক নিয়ে বুধবার সকাল থেকে ধানকাটা শুরু করেন।

খবর পেয়ে তিনি জমিতে গিয়ে ধানকাটার কারনসহ বাধা নিষেধ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে ভয়ভীতি দেখান। নিরুপায় হয়ে ধানকাটাবন্ধ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে চারবিঘা জমির মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ৫কাঠা জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেছেন অভিযুক্তদের একজন মো. রমজান আলী। তবে পুলিশে অভিযোগ করার খবর পেয়ে দুপুরের পর থেকে ধানকাটা বন্ধ রেখেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। আজ বৃহষ্পতিবার বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করে অবশিষ্ট ধান কাটার তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিরা।

ধান কাটা ও ঘরে তোলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্তদের পক্ষে মো. রমজান হোসেন দাবী করেন, জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে রফিক সরদারের সাথে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু নিষ্পত্তিতে অগ্রাহ্য করায় ধান কেটেছেন তাঁরা।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্তকরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গুরুদাসপুরে কৃষকের পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : পুর্ববিরোধের জের ধরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার দীঘদ্বারিয়া বিলে উঠতি পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রতিপক্ষ উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের আয়ুব আলী ও রমজান হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জমির মালিক রফিক সরদার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে ওই অভিযোগটি দিয়েছেন।

ধানচাষি রফিক সরদার অভিযোগ করেন, যোগেন্দ্রনগর মৌজায় অবস্থিত চারবিঘা জমিতে ইরি-বোর ধানের চাষ করেছিলেন। ধানওগুলো কাটার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্রসহ ১৫-২০জন লোক নিয়ে বুধবার সকাল থেকে ধানকাটা শুরু করেন।

খবর পেয়ে তিনি জমিতে গিয়ে ধানকাটার কারনসহ বাধা নিষেধ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে ভয়ভীতি দেখান। নিরুপায় হয়ে ধানকাটাবন্ধ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে চারবিঘা জমির মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ৫কাঠা জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেছেন অভিযুক্তদের একজন মো. রমজান আলী। তবে পুলিশে অভিযোগ করার খবর পেয়ে দুপুরের পর থেকে ধানকাটা বন্ধ রেখেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। আজ বৃহষ্পতিবার বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করে অবশিষ্ট ধান কাটার তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিরা।

ধান কাটা ও ঘরে তোলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্তদের পক্ষে মো. রমজান হোসেন দাবী করেন, জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে রফিক সরদারের সাথে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু নিষ্পত্তিতে অগ্রাহ্য করায় ধান কেটেছেন তাঁরা।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্তকরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।