ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন নিউইয়র্কে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন রুনা খান25 যশোরে করোনায় আক্রান্ত আরেকজনের মৃত্যু25 টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25 কুমারখালীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শেখ সাদীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অভিযোগে বীরগঞ্জে ৪টি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা25

চীনকে ঠেকাতে দুই দ্বীপকে রাষ্ট্রের মর্যাদা যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সঙ্গে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই দুই দ্বীপের গুরুত্ব:

দুটি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ।

বাইডেনের নতুন প্রস্তাব:

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অ্যামেরিকাকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। বাইডেন আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সঙ্গে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই দুই দ্বীপের গুরুত্ব

দুটি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ।

বাইডেনের নতুন প্রস্তাব

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অ্যামেরিকাকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। বাইডেন আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চীনকে ঠেকাতে দুই দ্বীপকে রাষ্ট্রের মর্যাদা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সঙ্গে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই দুই দ্বীপের গুরুত্ব:

দুটি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ।

বাইডেনের নতুন প্রস্তাব:

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অ্যামেরিকাকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। বাইডেন আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সঙ্গে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই দুই দ্বীপের গুরুত্ব

দুটি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ।

বাইডেনের নতুন প্রস্তাব

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অ্যামেরিকাকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। বাইডেন আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।