ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / 2

জাপানের উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরে জাপানের উপকূলীয় এলাকায় হালকা মাত্রার সুনামি আঘাত হেনেছে। রোববার জাপানের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যার দিকে ভূমিকম্পের পর এই সুনামি আঘাত হেনেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) বলেছে, জাপানের ইওয়াতে প্রদেশের মিয়াকোতে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে প্রথম সুনামি আঘাত হেনেছে। তবে সুনামির ঢেউ অনেক ছোট হওয়ায় এর উচ্চতা পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জেএমএ বলেছে, প্রথম সুনামি আঘাত হানার দুই মিনিট পর দেশটির ওফুনাতো উপকূলে ১০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে। ইওয়াতে উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় রোববার বিকেল ৫টা ৩ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই ১ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে জেএমএ।

তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জাপানের ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ ছিল বলে জানিয়েছে। জেএমএ বলেছে,  ইওয়াতে উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে যেকোনো মুহূর্তে ঢেউ উপকূলে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে সংস্থাটি।

জেএমএ বলেছে, প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ৫ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার কয়েকটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে সমুদ্রের শান্ত দৃশ্য দেখা গেছে।

একই অঞ্চলের উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় রোববার সকালের দিকেও অন্তত ছয়টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৮ এর মধ্যে। তবে ভূমিকম্প স্থলে খুব একটা অনুভূত হয়নি এবং সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

২০১১ সালে জাপানের ওই অঞ্চল সমুদ্রতলের ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির শিকার হয়েছিল। সেই সময় দেশটিতে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত কিংবা নিখোঁজ হয়ে পড়েন।

সুনামিতে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি রিঅ্যাক্টরে গলে যায়। জাপানের যুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় দুর্যোগ এবং চেরনোবিলের পর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ডেকে আনে ওই সুনামি।

জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে চারটি প্রধান ভূ-তাত্ত্বিক ফলকের সংযোগস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশও জাপান। প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের এই দ্বীপদেশে প্রতিবছর অন্তত দেড় হাজার ভূমিকম্প হয়। এর বেশিরভাগই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার হয়ে থাকে। যদিও ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করে ভূমিকম্পের অবস্থান ও ভূগর্ভের গভীরতার ওপর।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত

আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

জাপানের উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরে জাপানের উপকূলীয় এলাকায় হালকা মাত্রার সুনামি আঘাত হেনেছে। রোববার জাপানের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যার দিকে ভূমিকম্পের পর এই সুনামি আঘাত হেনেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) বলেছে, জাপানের ইওয়াতে প্রদেশের মিয়াকোতে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে প্রথম সুনামি আঘাত হেনেছে। তবে সুনামির ঢেউ অনেক ছোট হওয়ায় এর উচ্চতা পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জেএমএ বলেছে, প্রথম সুনামি আঘাত হানার দুই মিনিট পর দেশটির ওফুনাতো উপকূলে ১০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে। ইওয়াতে উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় রোববার বিকেল ৫টা ৩ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই ১ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে জেএমএ।

তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জাপানের ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ ছিল বলে জানিয়েছে। জেএমএ বলেছে,  ইওয়াতে উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে যেকোনো মুহূর্তে ঢেউ উপকূলে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে সংস্থাটি।

জেএমএ বলেছে, প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ৫ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার কয়েকটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে সমুদ্রের শান্ত দৃশ্য দেখা গেছে।

একই অঞ্চলের উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় রোববার সকালের দিকেও অন্তত ছয়টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৮ এর মধ্যে। তবে ভূমিকম্প স্থলে খুব একটা অনুভূত হয়নি এবং সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

২০১১ সালে জাপানের ওই অঞ্চল সমুদ্রতলের ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির শিকার হয়েছিল। সেই সময় দেশটিতে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত কিংবা নিখোঁজ হয়ে পড়েন।

সুনামিতে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি রিঅ্যাক্টরে গলে যায়। জাপানের যুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় দুর্যোগ এবং চেরনোবিলের পর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ডেকে আনে ওই সুনামি।

জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে চারটি প্রধান ভূ-তাত্ত্বিক ফলকের সংযোগস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশও জাপান। প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের এই দ্বীপদেশে প্রতিবছর অন্তত দেড় হাজার ভূমিকম্প হয়। এর বেশিরভাগই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার হয়ে থাকে। যদিও ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করে ভূমিকম্পের অবস্থান ও ভূগর্ভের গভীরতার ওপর।