ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা

জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 2

তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে শহরের ফৌজদারী মোড় এলাকার পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সড়কসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ২০ ফুট জায়গাজুড়ে ধসে গেছে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক। ভাঙনের জায়গাটি আপাতত রশি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

ভাঙে পড়া বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা হবে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান।

জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে চুইয়ে পানি পড়ার কারণে বাঁধের জায়গা থেকে মাটি সরে গিয়ে ভাঙন শুরু হয়। প্রথমে ছোট গর্ত হলেও পরে তা বড় গর্তের আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ পুলিশ সুপারের কর্যালয়ের সামনে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক ধসে প্রায় ২০ ফুট জায়াগায়জুড়ে গর্ত হয়ে যায়। এতে সাধারণ পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়।

নাও ভাঙ্গাচর এলাকার আকরাম হোসেন নামে একজন বলেন, রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় বিভিন্ন যানবাহনের কারণে চলতে ভয় হয়। এজন্য আমরা শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে চলাচল করি। আজ হঠাৎ করেই বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। আমাদের চলাচলের খুব সমস্যা হয়েছে। বাঁধটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ককে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য ২০১৩ সালে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধ-সংলগ্নে রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বাসভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পৌরসভা, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, জিলা স্কুল, পৌর কমিউনিটি সেন্টার, এলজিইডি ভবন, সার্কিট হাউস, জজকোর্ট, জেলা পরিষদ ভবন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র সেতু। শহরের পাথালিয়া থেকে পুরাতন ফেরিঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৫১ কোটি টাকা।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দু-এক দিনের মধ্যেই দ্রুত মেরামত করা হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে শহরের ফৌজদারী মোড় এলাকার পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সড়কসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ২০ ফুট জায়গাজুড়ে ধসে গেছে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক। ভাঙনের জায়গাটি আপাতত রশি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

ভাঙে পড়া বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা হবে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান।

জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে চুইয়ে পানি পড়ার কারণে বাঁধের জায়গা থেকে মাটি সরে গিয়ে ভাঙন শুরু হয়। প্রথমে ছোট গর্ত হলেও পরে তা বড় গর্তের আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ পুলিশ সুপারের কর্যালয়ের সামনে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক ধসে প্রায় ২০ ফুট জায়াগায়জুড়ে গর্ত হয়ে যায়। এতে সাধারণ পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়।

নাও ভাঙ্গাচর এলাকার আকরাম হোসেন নামে একজন বলেন, রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় বিভিন্ন যানবাহনের কারণে চলতে ভয় হয়। এজন্য আমরা শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে চলাচল করি। আজ হঠাৎ করেই বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। আমাদের চলাচলের খুব সমস্যা হয়েছে। বাঁধটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ককে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য ২০১৩ সালে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধ-সংলগ্নে রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বাসভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পৌরসভা, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, জিলা স্কুল, পৌর কমিউনিটি সেন্টার, এলজিইডি ভবন, সার্কিট হাউস, জজকোর্ট, জেলা পরিষদ ভবন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র সেতু। শহরের পাথালিয়া থেকে পুরাতন ফেরিঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৫১ কোটি টাকা।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দু-এক দিনের মধ্যেই দ্রুত মেরামত করা হবে।