ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25 ইরানে মার্কিন হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেল তেলের দাম সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা25 স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ25 মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ১৮তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের সুযোগ দাবিতে আন্দোলন শুরু ভয়াবহ অসুখের কারণে বিয়ে করছেন না সালমান, জানালেন নিজেই25 নতুন দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25

ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ  খুলনার‌ জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের বামুন্দিয়া গ্রামের মৃত্যু উমাপদ বিশ্বাসের স্ত্রী একজন সফল সবজি চাষী বিধবা নারী তপু বিশ্বাস । বামুন্দিয়া গ্রামের পিচ ঢালা রাস্তার পাশে স্বামীর রেখে যাওয়া ৪০শতক জমিতে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সংসারে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছেন।
তপু বিশ্বাস বলেন, এক সময় সংসারের কাজকর্ম শেষ করার পর অলস বসে সময় কাটাতাম। বাড়ীর পাশে‌ স্বামীর রেখে যাওয়া এক খন্ড জমিতে পটল চাষ করে বছরের ২লক্ষ টাকা আয় করেন। বিধবা নারী সকালে ঘুম থেক উঠে পটল খেতে যেয়ে পরাগন করতে হয়। পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ, তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল একটি চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে, কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
এই না নারী কৃষক নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ করেন। তখন আমার মনে একটি জেদ কাজ করলো যে পুরুষরা পারলে আমি পারবো না কেন। তখন আমার বাড়ীর পাশে‌ একজনের পরামর্শ নিয়ে শুরু করি সবজি চাষ।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই সার, বীজ বপন করি, পানি সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে ফসলের রক্ষণাবেক্ষণের সব কাজ নিজেই করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি নিজের খেতে বিষমুক্ত সবজি উত্পাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি। কারণ বর্তমানে বাজারের প্রতিটি সবজিতেই দেওয়া থাকে মাত্রারিক্ত সার ও কীটনাশক যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমি নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করে স্থানীয় বাজারে এই সবজি বিক্রি করে বছরে প্রায় বছর ২লকক্ষ টাকা আয় করছি। সেই অর্থ দিয়ে নিজের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগানসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছি। আজ আমার দেখাদেখি আশেপাশের অনেক নারীরা এই সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। আমার কাছে পরামর্শ নিতে এলে আমি তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করি। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি আমার এই সবজি চাষের পরিসরটাকে আরো বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি কৃষি বিভাগ থেকে কোন সহযোগিতা পাননি।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25

ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25

আপডেট সময় : ১২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

জেলা প্রতিনিধিঃ  খুলনার‌ জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের বামুন্দিয়া গ্রামের মৃত্যু উমাপদ বিশ্বাসের স্ত্রী একজন সফল সবজি চাষী বিধবা নারী তপু বিশ্বাস । বামুন্দিয়া গ্রামের পিচ ঢালা রাস্তার পাশে স্বামীর রেখে যাওয়া ৪০শতক জমিতে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সংসারে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছেন।
তপু বিশ্বাস বলেন, এক সময় সংসারের কাজকর্ম শেষ করার পর অলস বসে সময় কাটাতাম। বাড়ীর পাশে‌ স্বামীর রেখে যাওয়া এক খন্ড জমিতে পটল চাষ করে বছরের ২লক্ষ টাকা আয় করেন। বিধবা নারী সকালে ঘুম থেক উঠে পটল খেতে যেয়ে পরাগন করতে হয়। পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ, তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল একটি চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে, কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
এই না নারী কৃষক নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ করেন। তখন আমার মনে একটি জেদ কাজ করলো যে পুরুষরা পারলে আমি পারবো না কেন। তখন আমার বাড়ীর পাশে‌ একজনের পরামর্শ নিয়ে শুরু করি সবজি চাষ।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই সার, বীজ বপন করি, পানি সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে ফসলের রক্ষণাবেক্ষণের সব কাজ নিজেই করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি নিজের খেতে বিষমুক্ত সবজি উত্পাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি। কারণ বর্তমানে বাজারের প্রতিটি সবজিতেই দেওয়া থাকে মাত্রারিক্ত সার ও কীটনাশক যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমি নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করে স্থানীয় বাজারে এই সবজি বিক্রি করে বছরে প্রায় বছর ২লকক্ষ টাকা আয় করছি। সেই অর্থ দিয়ে নিজের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগানসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছি। আজ আমার দেখাদেখি আশেপাশের অনেক নারীরা এই সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। আমার কাছে পরামর্শ নিতে এলে আমি তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করি। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি আমার এই সবজি চাষের পরিসরটাকে আরো বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি কৃষি বিভাগ থেকে কোন সহযোগিতা পাননি।