ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকলে কোনো সরকার ফ্যাসিবাদী হতে পারবেনা: এ্যানি25 লক্ষ্মীপুরে আদালতে হাতাহাতির ঘটনায় দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা25 সচিবালয়ের কর্মচারী বিক্ষোভ: মঙ্গলবারও চলবে আন্দোলনের ২য় দিনের কর্মসূচি কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া25 শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ25 ওসিকে ডাকাতদলের সর্দার বললেন বিএনপি নেতা25 ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবই ছাপায় নিম্নমানের কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে25 মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য: শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছিল ত্যাগের প্রতীক এবি পার্টি ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫ শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে এক দিনে ৯ জনের করোনা শনাক্ত25

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর অর্ধেক অংশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ৮ বার পড়া হয়েছে

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর অর্ধেক অংশ ।মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে ২০তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে সেতুর লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিয়ারে (খুঁটি) ৩-এফ নম্বর স্প্যানটি স্থাপন করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, ২০১৭ সালে একটি, ২০১৮ সালে পাঁচটি এবং ২০১৯ সালে ১৪টি স্প্যান বসেছে। এ নিয়ে মূল সেতুর ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে চারটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনে করে মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে আজ সকালে ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে আনা হয়। এরপর বেলা একটার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর পর থেকে এ বছর নকশা নিয়ে সব ধরনের জটিলতা শেষ করা হয়। এ বছর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে ১৪টি স্প্যান। চলতি মাসেই স্থাপন করা হয়েছে তিনটি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিয়ারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৩৬টির। বাকি ছয়টি পিয়ার নির্মাণ আগামী এপ্রিল মাসে শেষ করা যাবে। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোড ওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো শেষ হয়েছে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি। এর মধ্যে ২০টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। চীন থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রপথে রয়েছে আরও দুটি স্প্যান। বাকি ছয়টি স্প্যান আগামী মার্চ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসবে। দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। দ্বিতল এই সেতুর উপরিভাগ দিয়ে চলবে গাড়ি, আর নিচ দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর অর্ধেক অংশ

আপডেট সময় : ০৩:২৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর অর্ধেক অংশ ।মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে ২০তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে সেতুর লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিয়ারে (খুঁটি) ৩-এফ নম্বর স্প্যানটি স্থাপন করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, ২০১৭ সালে একটি, ২০১৮ সালে পাঁচটি এবং ২০১৯ সালে ১৪টি স্প্যান বসেছে। এ নিয়ে মূল সেতুর ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে চারটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনে করে মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে আজ সকালে ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে আনা হয়। এরপর বেলা একটার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর পর থেকে এ বছর নকশা নিয়ে সব ধরনের জটিলতা শেষ করা হয়। এ বছর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে ১৪টি স্প্যান। চলতি মাসেই স্থাপন করা হয়েছে তিনটি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিয়ারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৩৬টির। বাকি ছয়টি পিয়ার নির্মাণ আগামী এপ্রিল মাসে শেষ করা যাবে। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোড ওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো শেষ হয়েছে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি। এর মধ্যে ২০টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। চীন থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রপথে রয়েছে আরও দুটি স্প্যান। বাকি ছয়টি স্প্যান আগামী মার্চ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসবে। দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। দ্বিতল এই সেতুর উপরিভাগ দিয়ে চলবে গাড়ি, আর নিচ দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।