নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আসুন রাষ্ট্রটাকে মেরামত করি। নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে, একশ বার যাবে।

আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) আশুলিয়ার জিরাবোতে আশুলিয়া ও সাভার থানা এবং সভার পৌরসভার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার সভাপতি ডা. দেওয়ার মো. সালাউদ্দিন প্রধান বক্তা ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন ও নিপুণ রায় চৌধুরী।

সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা এতোদিন আমরা বলতাম, এখন দেশে ও বিদেশে সবাই বলে। এই সরকারের লুটপাট, মুদ্রাপাচার, নারী পাচার, মরা মানুষের নামে মামলা, বিদেশে যারা থাকে তাদের নামে মামলা, আরও কত কী। মরা মানুষ অথবা বিদেশে থাকা মানুষদের নামে যারা মামলা দেয় তারা কি পড়াশুনা জানেন না? এ সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে ভবিষ্যতে কোনো কাজে লাগে না তারা তা বোঝেন না? যিনি মামলাটা করেন, তাকে কি পরে পাওয়া যাবে না ? আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী তাদের সবাই চেনেন। যারা এই মিথ্যা মামলা দেন, সরকার গেলেও তো তারা চাকরি করবেন?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, আর জনগনের ওপর জুলুম করবেন না। রাজনৈতিক দলের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করবেন না। জনগণের টাকায় কেনা গুলি জনগণের বুকে মারবেন না। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হোন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধ করে পরাজিত করেছি। মেজর জিয়াউর রহমান সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। পুলিশ, সিভিল প্রশান, ছাত্র যুবক সবাই মিলে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। আবার সবাই মিলে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করি এবং দেশটাকে সত্যিকারভাবে স্বাধীন করি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আসুন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করি, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করি। তাহলেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে এবং বাংলাদেশের জনগন মুক্ত হবে।

এ সম্মেলনে কণ্ঠ ভোটে আশুলিয়া থানার সভাপতি আজগর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর গফুর নির্বাচিত হন। একইভাবে সাভার থানার সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা এবং সভার পৌরসভার সভাপতি শাহ মইনুল হোসেন বিল্টু ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির নির্বাচিত হন। নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title