ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না : নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 10

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজ একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো ৪৪ ভাগ। আর অন্যান্য যারা তারা তো অনেক অনেক কম আর কি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল তারা শতকরা এক ভাগও না, এর চেয়েও কম।

নজরুল ইসলাম বলেন, এতে হতাশ হয়ে নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু জনগণ তাদের মন স্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না… এটা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা… এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধরে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।

‘কোটিপতি বাড়বে, দরিদ্র বাড়বে, এটাকে উন্নয়ন বলে না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা দেশে উন্নয়ন দেখেছি। বড় বড় দালানকোঠা, বড় বড় এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন ট্রেন ইত্যাদি। কিন্তু পাশাপাশি আমরা দেখেছি জনগণের মৌলিক ন্যূনতম আকাঙ্ক্ষাগুলো অপূর্ণ থেকে যেতে।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা পত্রিকায় পড়েছি যে, কোটিপতি উৎপাদনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষে। এ দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি হয় প্রতি বছর। অথচ আমরা এটাও পড়েছি যে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। একদিকে কিছু মানুষ কোটিপতি হয়, আরেক দিকে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে যায়। এ অবস্থা, এ অবস্থা গ্রহণযোগ্য না। এটাকে উন্নয়ন বলে না।

একজন রাজনীতিবিদ বলেছিলেন, যে দেশের মানুষ বেকার, উপার্জনহীন, বুভুক্ষু, দরিদ্র, সেই দেশে বড় বড় অট্টালিকা, বড় বড় রাস্তাঘাট, বড় বড় পুল-কালভার্ট এসব হলো সেটাকে গোরস্থানে আলোকসজ্জা করা বলে– উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, আপনি একটা গোরস্থানে আলোকসজ্জা করে দেখাতে পারেন বড় সুন্দর লাগছে। কিন্তু তার চারদিকে অন্ধকার, এটা উন্নয়ন না।

আপনারা খানিকক্ষণ পরেই শুনবেন যে কেমন উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে বিএনপি– উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, খালি বললেই তো হবে না যে আমরা দেশের মানুষকে শিক্ষিত করতে চাই। কীভাবে শিক্ষিত করবেন? আমরা দেশের মানুষের উপার্জন বাড়াতে চাই। কীভাবে করবেন? আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। আমরা নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে চাই। কীভাবে করবেন? আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চাই জনগণের জন্য।

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না : নজরুল

আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজ একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো ৪৪ ভাগ। আর অন্যান্য যারা তারা তো অনেক অনেক কম আর কি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল তারা শতকরা এক ভাগও না, এর চেয়েও কম।

নজরুল ইসলাম বলেন, এতে হতাশ হয়ে নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু জনগণ তাদের মন স্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না… এটা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা… এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধরে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।

‘কোটিপতি বাড়বে, দরিদ্র বাড়বে, এটাকে উন্নয়ন বলে না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা দেশে উন্নয়ন দেখেছি। বড় বড় দালানকোঠা, বড় বড় এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন ট্রেন ইত্যাদি। কিন্তু পাশাপাশি আমরা দেখেছি জনগণের মৌলিক ন্যূনতম আকাঙ্ক্ষাগুলো অপূর্ণ থেকে যেতে।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা পত্রিকায় পড়েছি যে, কোটিপতি উৎপাদনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষে। এ দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি হয় প্রতি বছর। অথচ আমরা এটাও পড়েছি যে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। একদিকে কিছু মানুষ কোটিপতি হয়, আরেক দিকে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে যায়। এ অবস্থা, এ অবস্থা গ্রহণযোগ্য না। এটাকে উন্নয়ন বলে না।

একজন রাজনীতিবিদ বলেছিলেন, যে দেশের মানুষ বেকার, উপার্জনহীন, বুভুক্ষু, দরিদ্র, সেই দেশে বড় বড় অট্টালিকা, বড় বড় রাস্তাঘাট, বড় বড় পুল-কালভার্ট এসব হলো সেটাকে গোরস্থানে আলোকসজ্জা করা বলে– উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, আপনি একটা গোরস্থানে আলোকসজ্জা করে দেখাতে পারেন বড় সুন্দর লাগছে। কিন্তু তার চারদিকে অন্ধকার, এটা উন্নয়ন না।

আপনারা খানিকক্ষণ পরেই শুনবেন যে কেমন উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে বিএনপি– উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, খালি বললেই তো হবে না যে আমরা দেশের মানুষকে শিক্ষিত করতে চাই। কীভাবে শিক্ষিত করবেন? আমরা দেশের মানুষের উপার্জন বাড়াতে চাই। কীভাবে করবেন? আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। আমরা নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে চাই। কীভাবে করবেন? আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চাই জনগণের জন্য।

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।