ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে না, ধারণা ৬০ শতাংশ মার্কিনির25 পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন25 আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘মাল্টিসেক্টোরাল একশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে। অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সাথে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, প্রাইভেট সেক্টর, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান। ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুন:চক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসাথে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম।

কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ফার্মের প্রতিনিধিগণ পাচটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় বিষয় চিহ্নিত করেন এবং উপস্থাপন করেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘মাল্টিসেক্টোরাল একশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে। অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সাথে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, প্রাইভেট সেক্টর, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান। ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুন:চক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসাথে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম।

কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ফার্মের প্রতিনিধিগণ পাচটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় বিষয় চিহ্নিত করেন এবং উপস্থাপন করেন।