ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি শৈলকুপায় বেণীপুর স্কুলের ১২০ বছরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত ডাকসুতে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাল পাকিস্তান জামায়াত সব সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের র‌্যাংকিং করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী

বর্ষার শুরুতেই যমুনায় ভাঙন, আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
  • / 51

মামুন সরকার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে শুরু হয়েছে এ ভাঙন।

কোন ভাবেই যেন শান্ত হচ্ছে না ভয়াবহ আগ্রাসী রূপ ধারণকারী রাক্ষুসে যমুনা। ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি। আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন হাজারো মানুষ। যেন দেখার কেউ নেই। করোনা আতঙ্কের মাঝে এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এসব এলাকার লোকজন। ভাঙনের ফলে প্রতিবছর বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম। গত কয়েক দিনের ভাঙনে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাই স্কুল, মন্দিরসহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘরবাড়ি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন রোধে বাঁধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। নেয়া হচ্ছে না ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা।

প্রতিবছর টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড লোক দেখানো জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোনও কাজেই আসছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বর্ষার শুরুতেই যমুনায় ভাঙন, আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০৭:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

মামুন সরকার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে শুরু হয়েছে এ ভাঙন।

কোন ভাবেই যেন শান্ত হচ্ছে না ভয়াবহ আগ্রাসী রূপ ধারণকারী রাক্ষুসে যমুনা। ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি। আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন হাজারো মানুষ। যেন দেখার কেউ নেই। করোনা আতঙ্কের মাঝে এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এসব এলাকার লোকজন। ভাঙনের ফলে প্রতিবছর বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম। গত কয়েক দিনের ভাঙনে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাই স্কুল, মন্দিরসহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘরবাড়ি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন রোধে বাঁধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। নেয়া হচ্ছে না ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা।

প্রতিবছর টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড লোক দেখানো জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোনও কাজেই আসছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।