বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ25
বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ25

- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুরে ৯ বছরের এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার গভীর রাতে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা বলছেন, শিশুটিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওসিসির সামনে শিশুটির চাচা এ প্রতিবেদককে জানান, শিশুটির বাবা তার বড় ভাই। পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জেরে তার ভাইয়ের সংসার ভেঙে যায়। এরপর তার ভাই আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার ভাই তাহেরপুর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। ফলে শিশুটি একা হয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, শিশুটিকে তারা বাড়িতে রাখার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সে কোনভাবেই বাড়িতে থাকত না। তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। কোনো সময় মানুষের বারান্দায় বা সিএনজি স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে পড়ত।
সোমবার দুপুরে শিশুটি বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত ১০টা হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় তিনি খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাহেরপুর বাজারের স্থানীয়রা শিশুটিকে কলেজ গেটের পাশে বাগানের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শিশুটি অচেতন ছিল। তার মুখ দিয়ে মদজাতীয় নেশাদ্রব্যের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে বাগমারা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে বখাটে কোনো যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের আগে শিশুটিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। শিশুটির পরিবার এখনো অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।