বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : চিকিৎসক
- আপডেট সময় : ০৩:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / 11
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৯) ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সুমনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী এই ময়নাতদন্ত করেন। এতে তাদের প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।
এ সময় বাইরে অপেক্ষা করেন তাওসিফের বাবা বিচারক আব্দুর রহমান। দুপুর সোয়া ১২টায় ময়নাতদন্ত শেষে তাওসিফের মরদেহ দাফনের জন্য জামালপুরে গ্রামের বাড়ি নেওয়া হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যায় দাফন হবে।
ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এই তিনটি জায়গায় রক্তনালী কেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ থাকার কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এই দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
রাজপাড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। হামলাকারী লিমন মিয়া পুলিশ নজরদারিতে চিকিৎসাধীন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন তাওসিফ। এ সময় আহত হয়ে হামলাকারী লিমন মিয়ার ও তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত ও উন্নতির দিকে। এ ছাড়া, ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।























