ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব সবার25 যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে না, ধারণা ৬০ শতাংশ মার্কিনির25 পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন25 আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা

ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- ইদ্রিস মিয়া, ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম, আবু বক্কর সালাফি ও রুবেল।

নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরের একটি দল বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গৌরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, গুলি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ভূয়া সীল, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৬টি ভূয়া লেনদেনের রশিদ, অর্থ গ্রহণের ভূয়া রশিদ, ১১ জনের ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৬টি ভূয়া ছবি এবং জাতিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার প্রিন্টার জব্দ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়। র‌্যাব-১১ সিনিয়র সহকারি পরিচালক মো: আলেপ উদ্দিন জানান, জাতিয়াতি চক্রের মূল হোতা ইদ্রিস মিয়া গত তিন বছর আগে একটি হোটেলে চাকুরি করার সময় তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয় ভারতীয় সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও আন্তর্জাতিক জাতিয়াতি চক্রের সদস্য পশু ভাইয়ের সাথে। পশু ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ হ্যাক করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন ও রেমিট্যান্স জালিয়াতি করে আসছিলেন। তার কাছ থেকে ইদ্রিস মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নানা ধরণের অভিনব কৌশল রপ্ত করেন। পরে নিজ এলাকার ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম ও অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে ব্যাংক জালিয়াতির একটি সংঘবদ্ধ দল গড়ে তোলেন। এরপর থেকেই এই চক্রটি ব্যাংক জালিয়াতির কাজ শুরু করে। তারা অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন্ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের ভূয়া ভাউচার, কর্মকর্তাদের ভূয়া সীল, স্বাক্ষর, পিন নম্বর এবং ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি তৈরি করে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। এই চক্রটি গত চার বছরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১

আপডেট সময় : ০১:১৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- ইদ্রিস মিয়া, ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম, আবু বক্কর সালাফি ও রুবেল।

নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরের একটি দল বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গৌরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, গুলি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ভূয়া সীল, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৬টি ভূয়া লেনদেনের রশিদ, অর্থ গ্রহণের ভূয়া রশিদ, ১১ জনের ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৬টি ভূয়া ছবি এবং জাতিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার প্রিন্টার জব্দ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়। র‌্যাব-১১ সিনিয়র সহকারি পরিচালক মো: আলেপ উদ্দিন জানান, জাতিয়াতি চক্রের মূল হোতা ইদ্রিস মিয়া গত তিন বছর আগে একটি হোটেলে চাকুরি করার সময় তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয় ভারতীয় সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও আন্তর্জাতিক জাতিয়াতি চক্রের সদস্য পশু ভাইয়ের সাথে। পশু ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ হ্যাক করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন ও রেমিট্যান্স জালিয়াতি করে আসছিলেন। তার কাছ থেকে ইদ্রিস মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নানা ধরণের অভিনব কৌশল রপ্ত করেন। পরে নিজ এলাকার ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম ও অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে ব্যাংক জালিয়াতির একটি সংঘবদ্ধ দল গড়ে তোলেন। এরপর থেকেই এই চক্রটি ব্যাংক জালিয়াতির কাজ শুরু করে। তারা অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন্ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের ভূয়া ভাউচার, কর্মকর্তাদের ভূয়া সীল, স্বাক্ষর, পিন নম্বর এবং ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি তৈরি করে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। এই চক্রটি গত চার বছরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে।