ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে না, ধারণা ৬০ শতাংশ মার্কিনির25 পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন25 আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস

ভাঙ্গায় অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় ” ফাতেমা”

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২১ ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ফরিদপুর :: অবশেষে ঘটনার একদিন পরে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা ওই নারীর পরিচয় ফাতেমা বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গৃহবধূ ফাতেমার পিতার নাম হাসমত মাতুব্বর। তাঁর স্বামী আহম্মদ আলী মাতুব্বর। ফাতেমা পেশায় একজন পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

বুধবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ভাঙ্গা থানা পুলিশ উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের নাজিরপুর খাঁ কান্দা গ্রামের চকের থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করার পর আজ বৃহষ্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) সকালে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করে।

স্থানীয় গ্রামবাসীর মতে, সন্তানদের আহারের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন গৃহবধু ফাতেমা (৩৫) । মা খাবার নিয়ে আসবে সেই খাবারের অপেক্ষায় ছিল ফাতেমার তিন ছেলে-মেয়ে। সারাদিন পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে নেমে আসে রাত হয়ে উঠে কিন্ত মায়ের অপেক্ষায় কাটছিল প্রতিটি মুহুর্ত। একটি সময় না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। অবশেষে পরের দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের কাছে সন্তানেরা জানতে পারে তাদের মায়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি বাড়ির পাঁশে অদূরে চকের মধ্যে পড়ে রয়েছে। অতপর পুলিশের প্রচেষ্টায় গৃহবধু ফাতেমার পরিবারকে পেয়ে তাঁর পরিচয় সামনে আসে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিদিন দিনমজুরী খেটে যা আয় রোজগার হয় তা দিয়ে বাজার-সদাই করে বাড়িতে ফিরেন এবং সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর স্বামী থেকেও নাই কারণ সে দীর্ঘদিন যাবত নিরুদ্দেশ হয়ে ছিল। এভাবেই অভাবে কোন রকমে সন্তানদের নিয়ে চলছিল ফাতেমার কষ্টের জীবন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) সকালে ফাতেমা প্রতিদিনের মত কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুজাঁখুঁজি করেন। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ওই চকে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার সময় হঠাৎ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চকের আশপাঁশে। একপর্যায়ে কঁচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ফাতেমার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতে লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই পিযুষ কান্তি সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে ফাতেমাকে অজ্ঞাত কে বা কাহারা হত্যা করে তার লাশ চকের মধ্যে কঁচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়েছে। তার দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের প্রচেষ্টায় ফাতেমার পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ ষূড়ূ করলে তার পরিবারের সদস্যরা পরিচয় সনাক্ত করে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভাঙ্গায় অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় ” ফাতেমা”

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ফরিদপুর :: অবশেষে ঘটনার একদিন পরে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা ওই নারীর পরিচয় ফাতেমা বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গৃহবধূ ফাতেমার পিতার নাম হাসমত মাতুব্বর। তাঁর স্বামী আহম্মদ আলী মাতুব্বর। ফাতেমা পেশায় একজন পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

বুধবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ভাঙ্গা থানা পুলিশ উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের নাজিরপুর খাঁ কান্দা গ্রামের চকের থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করার পর আজ বৃহষ্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) সকালে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করে।

স্থানীয় গ্রামবাসীর মতে, সন্তানদের আহারের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন গৃহবধু ফাতেমা (৩৫) । মা খাবার নিয়ে আসবে সেই খাবারের অপেক্ষায় ছিল ফাতেমার তিন ছেলে-মেয়ে। সারাদিন পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে নেমে আসে রাত হয়ে উঠে কিন্ত মায়ের অপেক্ষায় কাটছিল প্রতিটি মুহুর্ত। একটি সময় না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। অবশেষে পরের দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের কাছে সন্তানেরা জানতে পারে তাদের মায়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি বাড়ির পাঁশে অদূরে চকের মধ্যে পড়ে রয়েছে। অতপর পুলিশের প্রচেষ্টায় গৃহবধু ফাতেমার পরিবারকে পেয়ে তাঁর পরিচয় সামনে আসে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিদিন দিনমজুরী খেটে যা আয় রোজগার হয় তা দিয়ে বাজার-সদাই করে বাড়িতে ফিরেন এবং সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর স্বামী থেকেও নাই কারণ সে দীর্ঘদিন যাবত নিরুদ্দেশ হয়ে ছিল। এভাবেই অভাবে কোন রকমে সন্তানদের নিয়ে চলছিল ফাতেমার কষ্টের জীবন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) সকালে ফাতেমা প্রতিদিনের মত কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুজাঁখুঁজি করেন। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ওই চকে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার সময় হঠাৎ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চকের আশপাঁশে। একপর্যায়ে কঁচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ফাতেমার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতে লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই পিযুষ কান্তি সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে ফাতেমাকে অজ্ঞাত কে বা কাহারা হত্যা করে তার লাশ চকের মধ্যে কঁচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়েছে। তার দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের প্রচেষ্টায় ফাতেমার পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ ষূড়ূ করলে তার পরিবারের সদস্যরা পরিচয় সনাক্ত করে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।