ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাস্কর্য তৈরি করা হলে বঙ্গবন্ধু আল্লাহর কাছে লজ্জিত হবেন: মামুনুল হক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ ৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘ভাস্কর্যের বিরোধিতা নিছক ধর্মীয় কারণে করছি। রাজনৈতিক কোনও অভিলাষ নেই। বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে অতিরিক্ত এলার্জি নেই। বঙ্গবন্ধুকে একজন প্রয়াত মুসলিম নেতা হিসেবে স্মরণ করি। তার ভাস্কর্য তৈরি করা হলে আল্লাহর কাছে তিনি লজ্জিত হবেন। আমাদের মহান নেতা পরজগতে আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয়ে পড়ুন, এটা আমরা চাই না। কল্যাণকামিতার জায়গা থেকেই রাষ্ট্র, সরকারকে বঙ্গবন্ধুকে আল্লাহর কাছে লজ্জিত না করার জন্য অনুরোধ করছি। এই অনুরোধ আমরা করেই যাবো।’

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর নিজের ফেসবুক পেজে ‘ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতির’ ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, স্বাধীনতার মহান নেতা, এই রাষ্ট্রের স্থপতি মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে ভালোবাসি, তাকে শ্রদ্ধা করি, তাকে সম্মান জানাই, তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।’‘সুতরাং এই বক্তব্যের পর বঙ্গবন্ধুর সম্মানের ওপর আক্রমণকারী হিসেবে আমাদের সাব্যস্ত করাটা কতটা যৌক্তিক, তা দেশবাসীর কাছে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করবো।’

লাইভে হেফাজত নেতা মামুনুল বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে কেউ কেউ আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, আমার কোনও বক্তব্যের মাধ্যমে অথবা আমার কোনও কথায় এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোনও কথা আমি কস্মিনকালেও বলিনি। দেশের আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনও ব্যক্তি এমনটা কখনও করতে পারেন না।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ভাস্কর্য রাখা নাজায়েজ ও হারাম—সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়ে দিয়েছি এবং আমরা আমাদের বক্তব্যে এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছি, যদি আল্লাহ কখনও আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা দান করেন তাহলে শরিয়াহর আলোকে সকল কার্যক্রম ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।’

 

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভাস্কর্য তৈরি করা হলে বঙ্গবন্ধু আল্লাহর কাছে লজ্জিত হবেন: মামুনুল হক

আপডেট সময় : ০৪:০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘ভাস্কর্যের বিরোধিতা নিছক ধর্মীয় কারণে করছি। রাজনৈতিক কোনও অভিলাষ নেই। বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে অতিরিক্ত এলার্জি নেই। বঙ্গবন্ধুকে একজন প্রয়াত মুসলিম নেতা হিসেবে স্মরণ করি। তার ভাস্কর্য তৈরি করা হলে আল্লাহর কাছে তিনি লজ্জিত হবেন। আমাদের মহান নেতা পরজগতে আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয়ে পড়ুন, এটা আমরা চাই না। কল্যাণকামিতার জায়গা থেকেই রাষ্ট্র, সরকারকে বঙ্গবন্ধুকে আল্লাহর কাছে লজ্জিত না করার জন্য অনুরোধ করছি। এই অনুরোধ আমরা করেই যাবো।’

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর নিজের ফেসবুক পেজে ‘ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতির’ ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, স্বাধীনতার মহান নেতা, এই রাষ্ট্রের স্থপতি মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে ভালোবাসি, তাকে শ্রদ্ধা করি, তাকে সম্মান জানাই, তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।’‘সুতরাং এই বক্তব্যের পর বঙ্গবন্ধুর সম্মানের ওপর আক্রমণকারী হিসেবে আমাদের সাব্যস্ত করাটা কতটা যৌক্তিক, তা দেশবাসীর কাছে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করবো।’

লাইভে হেফাজত নেতা মামুনুল বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে কেউ কেউ আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, আমার কোনও বক্তব্যের মাধ্যমে অথবা আমার কোনও কথায় এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোনও কথা আমি কস্মিনকালেও বলিনি। দেশের আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনও ব্যক্তি এমনটা কখনও করতে পারেন না।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ভাস্কর্য রাখা নাজায়েজ ও হারাম—সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়ে দিয়েছি এবং আমরা আমাদের বক্তব্যে এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছি, যদি আল্লাহ কখনও আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা দান করেন তাহলে শরিয়াহর আলোকে সকল কার্যক্রম ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।’