ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েট প্রতিনিধিদলের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / 7

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল বুধবার (১৫ অক্টোবর) বুয়েটের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করবে। তারা দেখবে সেখানে কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

মহাপরিচালক জানান, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। গোডাউনে বিভিন্ন প্রকারের কেমিক্যাল রয়েছে। কেমিক্যালের আগুন আর অন্য আগুনের মধ্যে পার্থক্য আছে। কেমিক্যালের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

আগুন নেভানো হয়েছে উল্লেখ করে জাহেদ কামাল বলেন, ‘তবে আগুন আবারও জ্বলে উঠতে পারে। আমরা সতর্ক আছি। আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ মনে হলেও এখানে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক অনুমোদনহীন কেমিক্যাল গোডাউন গড়ে উঠেছে। টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুনে তিনজন ফায়ারফাইটার শহীদ হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না।’

কোনো এলাকায় অনুমোদনহীন গোডাউন গড়ে উঠলে সেটির বিষয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। সচেতনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে যেন সবাই কেমিক্যাল গোডাউন স্থাপন করেন।

মঙ্গলবার শিয়ালবাড়িতে পোশাককারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের এক কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের খবর আসে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচ ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।

পরে ১৬ জনের মরদেহ পোশাককারখানা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।

রাতে অগ্নিনিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েট প্রতিনিধিদলের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০১:১৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল বুধবার (১৫ অক্টোবর) বুয়েটের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করবে। তারা দেখবে সেখানে কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

মহাপরিচালক জানান, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। গোডাউনে বিভিন্ন প্রকারের কেমিক্যাল রয়েছে। কেমিক্যালের আগুন আর অন্য আগুনের মধ্যে পার্থক্য আছে। কেমিক্যালের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

আগুন নেভানো হয়েছে উল্লেখ করে জাহেদ কামাল বলেন, ‘তবে আগুন আবারও জ্বলে উঠতে পারে। আমরা সতর্ক আছি। আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ মনে হলেও এখানে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক অনুমোদনহীন কেমিক্যাল গোডাউন গড়ে উঠেছে। টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুনে তিনজন ফায়ারফাইটার শহীদ হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না।’

কোনো এলাকায় অনুমোদনহীন গোডাউন গড়ে উঠলে সেটির বিষয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। সচেতনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে যেন সবাই কেমিক্যাল গোডাউন স্থাপন করেন।

মঙ্গলবার শিয়ালবাড়িতে পোশাককারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের এক কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের খবর আসে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচ ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।

পরে ১৬ জনের মরদেহ পোশাককারখানা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।

রাতে অগ্নিনিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব তথ্য জানান।