ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দু’জনকে হত্যা করার অপারেশনের টাকা দান করে দেন র‌্যাব কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী কুমারখালীতে মিষ্টি তৈরির কারখানা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা যুদ্ধবিরতিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছে ইরান25 খাগড়াছড়িতে বাস খাদে পড়ে ৯ জন আহত25 গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে নারী গ্রেফতার25 বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ25 ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট, টার্গেট নারী রাজনীতিবিদরা সিএসএস প্রতিষ্ঠাতা রেভা. পলমুন্সী স্মরণে ভেড়ামারাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

যে আতঙ্ক ছিল সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ অংশগ্রহণ করেছে : উপাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: যে আতঙ্ক ছিল, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিক সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখন এটি ওয়ার্ল্ড মেমোরি অব হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর এটি অসাধারণ সম্পদ। সেটির রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টি ও দর্শনের প্রতিফলন। এটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দিয়ে থাকে। যে আতঙ্ক ছিল, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সব ধরনের উগ্রবাদীতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এটি একটি প্রতিবাদ।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।

যুদ্ধ-বিগ্রহ বিশ্বে শান্তির বার্তায় এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সব মানুষের ঢল নেমেছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন।

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে। পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন ও সোয়াটের সদস্যরা অস্ত্র হাতে সামনে-পেছনে গড়ে তোলেন নিরাপত্তা বলয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির সদস্যরাও ছিলেন তাদের সঙ্গে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যে আতঙ্ক ছিল সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ অংশগ্রহণ করেছে : উপাচার্য

আপডেট সময় : ১১:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: যে আতঙ্ক ছিল, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিক সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখন এটি ওয়ার্ল্ড মেমোরি অব হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর এটি অসাধারণ সম্পদ। সেটির রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টি ও দর্শনের প্রতিফলন। এটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দিয়ে থাকে। যে আতঙ্ক ছিল, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সব ধরনের উগ্রবাদীতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এটি একটি প্রতিবাদ।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।

যুদ্ধ-বিগ্রহ বিশ্বে শান্তির বার্তায় এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সব মানুষের ঢল নেমেছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন।

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে। পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন ও সোয়াটের সদস্যরা অস্ত্র হাতে সামনে-পেছনে গড়ে তোলেন নিরাপত্তা বলয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির সদস্যরাও ছিলেন তাদের সঙ্গে।