ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন নিউইয়র্কে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন রুনা খান25 যশোরে করোনায় আক্রান্ত আরেকজনের মৃত্যু25 টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25 কুমারখালীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শেখ সাদীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অভিযোগে বীরগঞ্জে ৪টি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা25

সংকট উত্তরণে ৬ দফা প্রস্তাব দিলেন ড. কামাল হোসেন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জন্য গণতন্ত্রহীনতা বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এই সংকট থেকে উত্তরণে ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সংলাপের আয়োজন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল যে ছয় দফা উত্থাপন করেছেন সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা বলা আছে। যেটি বিএনপি ও সমমনাদের ‘এক দফা’ দাবির সঙ্গে মিলে গেছে।

ড. কামারের দাবিগুলো হচ্ছে– রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে বাধা না দেওয়া, সব দলের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।

কামাল হোসেনের তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পড়ে শোনান দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

পরে ড. কামাল বলেন, আজকে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশে। আমাদের যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলোকে অর্জন করতে হলে এই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমার একটাই আবেদন, আমরা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করি, ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

কামাল হোসেন বলেন, গণফোরাম জনগণের মালিকানা ও জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কায়েম করতে বদ্ধপরিকর। এদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, আপনার-আমার সবার।

ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রবীণ এই আইনজীবী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন তিনি।

একাদশ নির্বাচনে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি অভিযোগ আনে, সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ‘কথা রাখেনি’।

ভোটের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি জোটের দূরত্ব বাড়ে। বিএনপি সমমনা ও বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে। এই আন্দোলনে ড. কামাল হোসেনের সম্পৃক্ততা নেই। তবে গণফোরামের অপর অংশের সমর্থন আছে।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজকের আলোচনা সভা হয়। গণসংগীত দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।

গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের সভাপতি পরিষদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এসএম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মোশতাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, শাহ মো. নুরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

নেতৃত্বের মতপার্থক্যে ২০২১ সালে আলাদা আলাদা জাতীয় কাউন্সিল করে গণফোরাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল হোসেন; অন্যভাগে রয়েছেন তারই দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সংকট উত্তরণে ৬ দফা প্রস্তাব দিলেন ড. কামাল হোসেন

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জন্য গণতন্ত্রহীনতা বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এই সংকট থেকে উত্তরণে ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সংলাপের আয়োজন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল যে ছয় দফা উত্থাপন করেছেন সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা বলা আছে। যেটি বিএনপি ও সমমনাদের ‘এক দফা’ দাবির সঙ্গে মিলে গেছে।

ড. কামারের দাবিগুলো হচ্ছে– রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে বাধা না দেওয়া, সব দলের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।

কামাল হোসেনের তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পড়ে শোনান দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

পরে ড. কামাল বলেন, আজকে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশে। আমাদের যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলোকে অর্জন করতে হলে এই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমার একটাই আবেদন, আমরা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করি, ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

কামাল হোসেন বলেন, গণফোরাম জনগণের মালিকানা ও জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কায়েম করতে বদ্ধপরিকর। এদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, আপনার-আমার সবার।

ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রবীণ এই আইনজীবী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন তিনি।

একাদশ নির্বাচনে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি অভিযোগ আনে, সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ‘কথা রাখেনি’।

ভোটের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি জোটের দূরত্ব বাড়ে। বিএনপি সমমনা ও বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে। এই আন্দোলনে ড. কামাল হোসেনের সম্পৃক্ততা নেই। তবে গণফোরামের অপর অংশের সমর্থন আছে।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজকের আলোচনা সভা হয়। গণসংগীত দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।

গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের সভাপতি পরিষদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এসএম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মোশতাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, শাহ মো. নুরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

নেতৃত্বের মতপার্থক্যে ২০২১ সালে আলাদা আলাদা জাতীয় কাউন্সিল করে গণফোরাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল হোসেন; অন্যভাগে রয়েছেন তারই দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।