হাদির খোঁজ নিতে ঢামেকে মানুষের ঢল, হাউমাউ করে কাঁদছেন সহযোদ্ধারা
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 4
গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢল নেমেছে ইনকিলাব মঞ্চ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের। এ সময় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা হাদির শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন খবর শুনে তাদের অধিকাংশকেই হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা গেছে।
এ সময় কেউ কেউ দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়াও করছেন। সবারই যেন একটাই চাওয়া, সৃষ্টিকর্তা যেন যেকোনো মূল্যে ওসমান হাদিকে ফিরিয়ে দেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগ, ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার, আইসিইউ করিডোর—হাসপাতালের প্রতিটি কোণ জুড়ে একই দৃশ্য: উৎকণ্ঠা, কান্না, আর এক ধরনের গভীর অসহায়তা। ইনকিলাব মঞ্চ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ—সবাই ছুটে এসেছেন হাদিকে এক নজর দেখতে। হাসপাতালের বাইরেও চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন হাজারও সাধারণ মানুষ। হাসপাতালের আইসিইউ’র সামনে অপেক্ষমাণ হাদির রাজনৈতিক সহকর্মীরা যেন এখন আর কেউই কথা বলতে পারছেন না। কেউ চুপচাপ দেয়ালে হেলান দিয়ে কাঁদছেন।
শুধু তার দলই নয়, সহমর্মিতা জানাতে এসেছেন নানা রাজনৈতিক-সামাজিক অঙ্গনের মানুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারের সামনে অন্য নেতাকর্মী কাঁধে হাত রেখে কাঁদচেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তাকে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা গেছে। এসময় পাশেই হতবিহ্বল অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাত রশিদকেও। সেও যেন নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলেন না।
ঢাকা মেডিকেলের সামনে অপেক্ষমাণ সকল নেতাকর্মীদের মুখে একটাই চাওয়া, আল্লাহ আপনাকে বাঁচিয়ে রাখুক হাদি ভাই। রাকিব হাসান নামক এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার মানে হচ্ছে জুলাই বিপ্লবীদের ভয় দেখানো। কিন্তু হাদি ভাই ইতোমধ্যে লাখো মানুষের মন জয় করে ফেলেছেন। সব স্তরের মানুষ তাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসে। এভাবে তাকে থামানো যাবে না।’



















