ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত ডাকসুতে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাল পাকিস্তান জামায়াত সব সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের র‌্যাংকিং করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী ডাকসু নির্বাচন : ভোটের দিন ঢাবিতে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে’ ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত, প্রতি কেজির দাম মাত্র ১৫২১ টাকা ডাকসু নির্বাচনে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই : সেনাসদর

হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 4

ডিজিটাল ডেস্ক : সহিংসতা কবলিত নেপাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে আলোচিত অনেক ছবি ও ভিডিও। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে, দেশটির মন্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের একটি সেনা হেলিকপ্টার থেকে ফেলা দড়ি (রেসকিউ স্লিং) আঁকড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে কাঠমান্ডুতে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়, যার ফলে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে।

নেপালের সেনারা বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশের রাজধানী পাহারা দিয়েছে এবং সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে লোকজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এর মধ্যেই হেলিকপ্টারের দড়ি ধরে পালানোর ভিডিওটি সামনে এলো। খবর এনডিটিভি’র।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে নেপালের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া জেন-জি গোষ্ঠীগুলো ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের ভাষ্য, আন্দোলনটি ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা ছিনতাই করেছে’।

সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় পুলিশ গুলি চালালে। দু’দিনের আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জনের বেশি। হতাহতের এসব ঘটনাতেই আরও উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

একপর্যায়ে তীব্র চাপের মুখে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর পদত্যাগ করেন নেপালের প্রেসিডেন্টও। তবে এরপরও চলতে থাকে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। বিবিসি বলছে, অনেক বিক্ষোভকারী এখন উদ্বিগ্ন, কারণ আন্দোলন ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ পরিচালনা করেছে।

বিক্ষোভকারীদের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবারের বিক্ষোভ নেপালের জেন-জিদের আয়োজিত। এটি একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির অবসান।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করা বা অন্যদের আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের অপব্যবহার করার সুযোগ দেয়া ছিল না।’

নেপালের সেনাবাহিনীও অভিযোগ করেছে যে, বিভিন্ন ‘ব্যক্তি এবং নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী’ বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করেছে এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা

আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিজিটাল ডেস্ক : সহিংসতা কবলিত নেপাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে আলোচিত অনেক ছবি ও ভিডিও। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে, দেশটির মন্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের একটি সেনা হেলিকপ্টার থেকে ফেলা দড়ি (রেসকিউ স্লিং) আঁকড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে কাঠমান্ডুতে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়, যার ফলে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে।

নেপালের সেনারা বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশের রাজধানী পাহারা দিয়েছে এবং সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে লোকজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এর মধ্যেই হেলিকপ্টারের দড়ি ধরে পালানোর ভিডিওটি সামনে এলো। খবর এনডিটিভি’র।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে নেপালের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া জেন-জি গোষ্ঠীগুলো ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের ভাষ্য, আন্দোলনটি ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা ছিনতাই করেছে’।

সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় পুলিশ গুলি চালালে। দু’দিনের আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জনের বেশি। হতাহতের এসব ঘটনাতেই আরও উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

একপর্যায়ে তীব্র চাপের মুখে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর পদত্যাগ করেন নেপালের প্রেসিডেন্টও। তবে এরপরও চলতে থাকে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। বিবিসি বলছে, অনেক বিক্ষোভকারী এখন উদ্বিগ্ন, কারণ আন্দোলন ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ পরিচালনা করেছে।

বিক্ষোভকারীদের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবারের বিক্ষোভ নেপালের জেন-জিদের আয়োজিত। এটি একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির অবসান।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করা বা অন্যদের আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের অপব্যবহার করার সুযোগ দেয়া ছিল না।’

নেপালের সেনাবাহিনীও অভিযোগ করেছে যে, বিভিন্ন ‘ব্যক্তি এবং নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী’ বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করেছে এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে।