ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হ্যাঁ’ ভোটের প্রচার চালাতে বিভাগীয় সমাবেশ করবে জামায়াতসহ ৮ দল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / 13

অনলাইন ডেস্ক: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে প্রচারে সাত বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আট দল।

বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আগামী ৩০ নভেম্বর রংপুর, ১ ডিসেম্বর রাজশাহী, ২ ডিসেম্বর খুলনা, ৩ ডিসেম্বর বরিশাল, ৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ, ৫ ডিসেম্বর সিলেট এবং ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে সমাবেশ হবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, যারা সংস্কারের বিরোধী তাদের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যের সুযোগ নেই।

আট দলের পরিধি বাড়বে কিনা- প্রশ্নে এই জামায়াত নেতা বলেছেন, যারা একসঙ্গে আন্দোলন করছি, তারা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করব। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ইসলামী, গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক যত শক্তি আছে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। দরজা উন্মুক্ত। বিএনপি বা এনসিপি এভাবেও বলছি না, যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন এবং দেশকে ভালোবাসেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে ও সংস্কারপন্থি তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচনের আগে গণভোট, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে আট দল। ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

আদেশ অনুযায়ী গণভোট এবং নির্বাচন একদিনে হবে। পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে কমিটির মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিযোগসহ জুলাই সনদের ৪৮টি সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট।

পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন পদ্ধতি, কমিটির মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিযোগে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) রয়েছে। তবে আট দল গণভোটের প্রশ্নকে সমর্থন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী করতে বিভাগীয় শহরে সমাবেশে আট দলের শীর্ষ নেতারা থাকবেন। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে লিয়াঁজো কমিটি গঠন করা হবে।

ইউসুফ আশরাফ বলেন, আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, সেজন্য সনদ বাস্তবায়ন করত হবে। এ জন্য গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী করতে হবে। ‘না’ জয়ী হলে আওয়ামী লীগের মত নতুন ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে উঠবে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পল্লবীতে যুবদল নেতা খুন হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় খুন হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবিতে আট দলের আন্দোলন চলবে।

একইদিনে গণভোট ও নির্বাচন আট দল মেনে নিচ্ছে কিনা- প্রশ্নে ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি এখনও জানাচ্ছি। সনদের বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ খেলাফতের মাওলানা জালালুদ্দীন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বিডিপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রিয়াদ হোসাইন রায়হান প্রমুখ।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘হ্যাঁ’ ভোটের প্রচার চালাতে বিভাগীয় সমাবেশ করবে জামায়াতসহ ৮ দল

আপডেট সময় : ১২:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে প্রচারে সাত বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আট দল।

বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আগামী ৩০ নভেম্বর রংপুর, ১ ডিসেম্বর রাজশাহী, ২ ডিসেম্বর খুলনা, ৩ ডিসেম্বর বরিশাল, ৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ, ৫ ডিসেম্বর সিলেট এবং ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে সমাবেশ হবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, যারা সংস্কারের বিরোধী তাদের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যের সুযোগ নেই।

আট দলের পরিধি বাড়বে কিনা- প্রশ্নে এই জামায়াত নেতা বলেছেন, যারা একসঙ্গে আন্দোলন করছি, তারা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করব। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ইসলামী, গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক যত শক্তি আছে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। দরজা উন্মুক্ত। বিএনপি বা এনসিপি এভাবেও বলছি না, যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন এবং দেশকে ভালোবাসেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে ও সংস্কারপন্থি তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচনের আগে গণভোট, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে আট দল। ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

আদেশ অনুযায়ী গণভোট এবং নির্বাচন একদিনে হবে। পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে কমিটির মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিযোগসহ জুলাই সনদের ৪৮টি সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট।

পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন পদ্ধতি, কমিটির মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিযোগে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) রয়েছে। তবে আট দল গণভোটের প্রশ্নকে সমর্থন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী করতে বিভাগীয় শহরে সমাবেশে আট দলের শীর্ষ নেতারা থাকবেন। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে লিয়াঁজো কমিটি গঠন করা হবে।

ইউসুফ আশরাফ বলেন, আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, সেজন্য সনদ বাস্তবায়ন করত হবে। এ জন্য গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী করতে হবে। ‘না’ জয়ী হলে আওয়ামী লীগের মত নতুন ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে উঠবে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পল্লবীতে যুবদল নেতা খুন হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় খুন হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবিতে আট দলের আন্দোলন চলবে।

একইদিনে গণভোট ও নির্বাচন আট দল মেনে নিচ্ছে কিনা- প্রশ্নে ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি এখনও জানাচ্ছি। সনদের বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ খেলাফতের মাওলানা জালালুদ্দীন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বিডিপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রিয়াদ হোসাইন রায়হান প্রমুখ।