ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমারখালীতে মিষ্টি তৈরির কারখানা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা যুদ্ধবিরতিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছে ইরান25 খাগড়াছড়িতে বাস খাদে পড়ে ৯ জন আহত25 গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে নারী গ্রেফতার25 বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ25 ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট, টার্গেট নারী রাজনীতিবিদরা সিএসএস প্রতিষ্ঠাতা রেভা. পলমুন্সী স্মরণে ভেড়ামারাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অস্ত্রোপচার করাবেন বেলিংহ্যাম – মাঠের বাইরে যাচ্ছেন কতদিন? যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ রাতে ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০ ৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সারাদেশের ছয়টি অভয়াশ্রমসহ দেশের ৩৬টি জেলার নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মধ্যরাত থেকে উঠে যাচ্ছে ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার নদনদীতে ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা।

গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর (বুধবার) দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও সারাদেশের ছয়টি অভয়াশ্রমসহ দেশের ৩৬টি জেলার নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নদীতে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার কেজি ইলিশ ও কোটি কোটি মিটার জাল জব্দ করেছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কয়েকশ’ জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে কয়েক লাখ টাকা।ওই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদফতর। ৩৬টি জেলার ১৫২ উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলা, চাঁদপুরসহ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জেলার জেলেরা নতুন উদ্যমে নদীতে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলেপাড়ায় মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। জেলেদের প্রত্যাশা তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনোভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হয়নি। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হয়নি। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতেও জেলেদের নামতে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপি’তে ইলিশের অবদান এক শতাংশেরও বেশি। সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নিবন্ধন প্রদান করেছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ রাতে ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা

আপডেট সময় : ০৩:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সারাদেশের ছয়টি অভয়াশ্রমসহ দেশের ৩৬টি জেলার নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মধ্যরাত থেকে উঠে যাচ্ছে ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার নদনদীতে ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা।

গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর (বুধবার) দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও সারাদেশের ছয়টি অভয়াশ্রমসহ দেশের ৩৬টি জেলার নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নদীতে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার কেজি ইলিশ ও কোটি কোটি মিটার জাল জব্দ করেছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কয়েকশ’ জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে কয়েক লাখ টাকা।ওই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদফতর। ৩৬টি জেলার ১৫২ উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলা, চাঁদপুরসহ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জেলার জেলেরা নতুন উদ্যমে নদীতে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলেপাড়ায় মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। জেলেদের প্রত্যাশা তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনোভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হয়নি। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হয়নি। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতেও জেলেদের নামতে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপি’তে ইলিশের অবদান এক শতাংশেরও বেশি। সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নিবন্ধন প্রদান করেছে।