ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অভিষেকেই খরুচে বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড আইরিশ বোলারের সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকলে কোনো সরকার ফ্যাসিবাদী হতে পারবেনা: এ্যানি25 লক্ষ্মীপুরে আদালতে হাতাহাতির ঘটনায় দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা25 সচিবালয়ের কর্মচারী বিক্ষোভ: মঙ্গলবারও চলবে আন্দোলনের ২য় দিনের কর্মসূচি কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া25 শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ25 ওসিকে ডাকাতদলের সর্দার বললেন বিএনপি নেতা25 ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবই ছাপায় নিম্নমানের কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে25 মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য: শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছিল ত্যাগের প্রতীক

এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি। সামনের দিনগুলোতে বিদেশে চাল রফতানি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছি।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ সোমবার ( ১৬ অক্টোবর) এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। পানির সদ্ব্যবহার করতে হবে। পানি না হলে ফসল উৎপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরা বাঁচতে পারবো না। অনেকে বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদনে ৪ হাজার লিটার পানি লাগে। কৃষকেরা অনেক সময় প্রয়োজনরে তুলনায় বেশি পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন। সচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বার বার ছাঁটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। বছরে প্রায় ২০ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ, লাল চালে পুষ্টি বেশি।’

চকচকে চাল খাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরি করার আগ্রহ হারাবে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করি বলেই লাল চাল খাওয়ার কথা বলি।’

দেশে জমি কমেছে কিন্তু, জনসংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। চাল, মাছ, আম ও সবজি উৎপাদনে আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রসেসিং করে আম ও সবজি রফতানি করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে।’

দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বোরো ফসল ভালো হয়েছিল। বোরোর মতো আমনের ফসলেরও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। খাদ্য সংকট নেই। তবে, ব্যবসায়ীদের সচেতন হতে হবে, ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রয় হয় সে চাল ঢাকায় এসে অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:২২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি। সামনের দিনগুলোতে বিদেশে চাল রফতানি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছি।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ সোমবার ( ১৬ অক্টোবর) এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। পানির সদ্ব্যবহার করতে হবে। পানি না হলে ফসল উৎপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরা বাঁচতে পারবো না। অনেকে বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদনে ৪ হাজার লিটার পানি লাগে। কৃষকেরা অনেক সময় প্রয়োজনরে তুলনায় বেশি পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন। সচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বার বার ছাঁটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। বছরে প্রায় ২০ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ, লাল চালে পুষ্টি বেশি।’

চকচকে চাল খাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরি করার আগ্রহ হারাবে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করি বলেই লাল চাল খাওয়ার কথা বলি।’

দেশে জমি কমেছে কিন্তু, জনসংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। চাল, মাছ, আম ও সবজি উৎপাদনে আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রসেসিং করে আম ও সবজি রফতানি করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে।’

দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বোরো ফসল ভালো হয়েছিল। বোরোর মতো আমনের ফসলেরও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। খাদ্য সংকট নেই। তবে, ব্যবসায়ীদের সচেতন হতে হবে, ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রয় হয় সে চাল ঢাকায় এসে অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।’