ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৫ আগস্ট বিকালে জুলাই ঘোষণাপত্র: প্রেস সচিব রোববার শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা: এনসিপি জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত, ঘোষণা ৫ আগস্ট গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড,নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিট সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, পিআর পদ্ধতিতে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত অপু বিশ্বাসের কথা আগে জানলে শাকিব খানের সাথে জড়াতাম না: বুবলি এনসিপির জুলাই পদযাত্রা সমাপ্ত ট্রাম্প পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি ও তেলসম্পদ উন্নয়ন বিয়েবাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট আতিয়ার আটক পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতায় নাকাল শতাধিক পরিবার

দেশব্যাপী গ্রাম্য আদালত ব্যবস্থা কার্যকর করার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১ ২৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা : স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়াকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্যোগে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রাপ্তির সুযোগ কে আরো সুগম করা এবং গ্রাম আদালত কার্যক্রম টেকসই করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি প্রজেক্ট রিফ্লেকশন কর্মশালা (স্থানীয় করণ, শিখন এবং ভবিষ্যৎ করণীয়) এর আয়োজন করা হয়। কর্মশালার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে হিসাব সহকারী- কাম- কম্পিউটার অপারেটরদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা।

এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারের সেবা দিনে দিনে গ্রামীণ জনগণের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রামীণ আদালতের আইনগত বিষয়গুলো আরও যুগোপযোগী করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামীতে দেশব্যাপী গ্রাম আদালত ব্যবস্থা কার্যকরী করার লক্ষ্যে দেশের সকল ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে।এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

কর্মশালার সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন,গ্রাম আদালত কোন প্রকল্পভুক্ত কার্যক্রম নয় বরং ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন অনন্য কাজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই এ কার্যক্রম কেবল প্রকল্প এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের সকল ইউনিয়নে বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করছে। এ প্রকল্প হতে লব্ধ অভিজ্ঞতার, শিক্ষণীয় বিষয়/ দৃষ্টান্তসমূহ অনুশীলন ও চর্চার মাধ্যমে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ এর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরি ংক বলেন যে, ১৯৭৩ সাল হতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।ইইউসর্বদা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প সমর্থন দেয়।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধির প্রদীপ্ত মুখার্জী বলেন যে, উচ্চ আদালতের আনুমানিক ৩৭ লক্ষ মামলার জট কমাতেও গ্রাম আদালত সহযোগিতা করছে। গ্রাম আদালত কেবল বিরোধ নিষ্পত্তি নয়, সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পূর্ণ মিলন স্থাপনের লক্ষ্যে একটি অর্থবহ পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রসঙ্গত ,বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ( দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প দেশের সমতলভূমির আটটি বিভাগের ২৭ টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১,০৮০ ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।২০১৯ সালে এই প্রকল্পটি তিনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় আরো ১২১ইউনিয়নে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। উক্ত জেলাসমূহে প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা জোরদার করা এবং গ্রাম আদালত কার্যকর করার কর্মমুখী গবেষণা করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশব্যাপী গ্রাম্য আদালত ব্যবস্থা কার্যকর করার আহ্বান

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা : স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়াকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্যোগে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রাপ্তির সুযোগ কে আরো সুগম করা এবং গ্রাম আদালত কার্যক্রম টেকসই করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি প্রজেক্ট রিফ্লেকশন কর্মশালা (স্থানীয় করণ, শিখন এবং ভবিষ্যৎ করণীয়) এর আয়োজন করা হয়। কর্মশালার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে হিসাব সহকারী- কাম- কম্পিউটার অপারেটরদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা।

এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারের সেবা দিনে দিনে গ্রামীণ জনগণের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রামীণ আদালতের আইনগত বিষয়গুলো আরও যুগোপযোগী করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামীতে দেশব্যাপী গ্রাম আদালত ব্যবস্থা কার্যকরী করার লক্ষ্যে দেশের সকল ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে।এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

কর্মশালার সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন,গ্রাম আদালত কোন প্রকল্পভুক্ত কার্যক্রম নয় বরং ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন অনন্য কাজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই এ কার্যক্রম কেবল প্রকল্প এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের সকল ইউনিয়নে বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করছে। এ প্রকল্প হতে লব্ধ অভিজ্ঞতার, শিক্ষণীয় বিষয়/ দৃষ্টান্তসমূহ অনুশীলন ও চর্চার মাধ্যমে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ এর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরি ংক বলেন যে, ১৯৭৩ সাল হতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।ইইউসর্বদা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প সমর্থন দেয়।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধির প্রদীপ্ত মুখার্জী বলেন যে, উচ্চ আদালতের আনুমানিক ৩৭ লক্ষ মামলার জট কমাতেও গ্রাম আদালত সহযোগিতা করছে। গ্রাম আদালত কেবল বিরোধ নিষ্পত্তি নয়, সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পূর্ণ মিলন স্থাপনের লক্ষ্যে একটি অর্থবহ পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রসঙ্গত ,বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ( দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প দেশের সমতলভূমির আটটি বিভাগের ২৭ টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১,০৮০ ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।২০১৯ সালে এই প্রকল্পটি তিনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় আরো ১২১ইউনিয়নে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। উক্ত জেলাসমূহে প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা জোরদার করা এবং গ্রাম আদালত কার্যকর করার কর্মমুখী গবেষণা করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।