ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকার বাজারে সবজির দাম চড়া, কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা কেজি মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান ইন্টারনেট বন্ধ : তদন্তে মিলেছে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার প্রমাণ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সীর মৃত্যু গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৫৮ হাজার ৬৭৭ ফিলিস্তিনি নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের বিক্ষোভ, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদ কুষ্টিয়া কুমারখালীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩ জন নির্বাচন নিয়ে ভেতরে-ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী লিটনের পারফরম্যান্স নিয়ে যা বললেন নাফিস হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ: রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার রুখবে সংগঠন

একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি মহান একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই মন ও মননের প্রকাশ এবং সুচিন্তন কর্মকে সাধুবাদ জানিয়ে সব রকম সহযোগিতা দিয়ে থাকে। মুক্তবুদ্ধির চর্চা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার জন্য বর্তমানে দেশে অত্যন্ত সুন্দর ও আন্তরিক পরিবেশ বিরাজ করছে।’

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২২’ শুরু উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আয়োজিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমি, দেশি-বিদেশি প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। জ্ঞান চর্চা ও পাঠের বিস্তারে অমর একুশে বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, `জাতির মনন গঠনে এই বইমেলা সুদূপ্রসারী ভূমিকা রেখে চলেছে। পাশাপাশি বইমেলা আমাদের জীবনবোধ ও চেতনাকে প্রতিনিয়ত শাণিত করছে।’ বইয়ের মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে লেখক এবং প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা ।

তিনি বলেন, ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর, এমন মাহেন্দ্রক্ষণে এ বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। তাই এবছরের মেলা এক ভিন্নমাত্রা নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে।’’ এ মহান দিনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ সকল ভাষা শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানান বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। নানা লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষার সংগ্রাম পরিণত হয়েছিল আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে। এজন্য অমর একুশে আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়। বাংলা ভাষা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য আমি ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাবি উত্থাপন করেছি। বিশ্বের সকল ভাষাগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে আমরা ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছি।’’ তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যায়ক্রমে ১০০টি নতুন গ্রন্থ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে ৪০টিরও অধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এসব বই পড়ে আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে চিনতে পারবে এবং তাঁর আদর্শে নিজেদের জীবন গড়ে তুলবে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন, সবাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। মহান একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করে যাবো— এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর: বাসস

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি মহান একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই মন ও মননের প্রকাশ এবং সুচিন্তন কর্মকে সাধুবাদ জানিয়ে সব রকম সহযোগিতা দিয়ে থাকে। মুক্তবুদ্ধির চর্চা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার জন্য বর্তমানে দেশে অত্যন্ত সুন্দর ও আন্তরিক পরিবেশ বিরাজ করছে।’

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২২’ শুরু উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আয়োজিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমি, দেশি-বিদেশি প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। জ্ঞান চর্চা ও পাঠের বিস্তারে অমর একুশে বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, `জাতির মনন গঠনে এই বইমেলা সুদূপ্রসারী ভূমিকা রেখে চলেছে। পাশাপাশি বইমেলা আমাদের জীবনবোধ ও চেতনাকে প্রতিনিয়ত শাণিত করছে।’ বইয়ের মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে লেখক এবং প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা ।

তিনি বলেন, ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর, এমন মাহেন্দ্রক্ষণে এ বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। তাই এবছরের মেলা এক ভিন্নমাত্রা নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে।’’ এ মহান দিনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ সকল ভাষা শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানান বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। নানা লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষার সংগ্রাম পরিণত হয়েছিল আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে। এজন্য অমর একুশে আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়। বাংলা ভাষা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য আমি ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাবি উত্থাপন করেছি। বিশ্বের সকল ভাষাগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে আমরা ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছি।’’ তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যায়ক্রমে ১০০টি নতুন গ্রন্থ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে ৪০টিরও অধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এসব বই পড়ে আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে চিনতে পারবে এবং তাঁর আদর্শে নিজেদের জীবন গড়ে তুলবে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন, সবাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। মহান একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করে যাবো— এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর: বাসস