ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতায় নাকাল শতাধিক পরিবার সদরপুর মেধাবী শিক্ষার্থী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব সরকারের মধ্যেই আরেকটা সরকার আছে : কাদের জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের ভূমিকা: অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা টঙ্গীতে ম্যানহোলে নারী নিখোঁজ: উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস আবু সাঈদ হত্যা মামলা: ট্রাইব্যুনালে ১৭ আসামি হাজির সদরপুর মহিলা কলেজ ডিগ্রী শাখা এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কলাবাগানে ছয়তলা থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ আগস্ট ২০২৩ ২২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পেয়েছেন। মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাজা স্থগিতের দুইদিন পর সোমবার লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পেলেন তিনি। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের

ভারতের পার্লামেন্ট এক নোটিশের মাধ্যমে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরোপিত শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় মন্তব্য করে, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ‘রুচিকর’ না হলেও তাকে পার্লামেন্ট থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তার এলাকার ভোটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিচারপতি গাভাই এই প্রসঙ্গে বলেন, রাহুলকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে বলেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। সাজা এক দিন কম হলে ওই ধারা প্রযোজ্য হতো না। তিনি বলেন, এ ধরনের জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সময় কারণ দর্শানো উচিত। কিন্তু নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টও আবেদন খারিজ করা নিয়ে গাদা গাদা পৃষ্ঠায় বহু কিছু লিখেছেন, কিন্তু কোনো কারণ দেখাননি।

তিন বিচারপতির বেঞ্চ আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা নির্বাচকদের অধিকারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। বিচারপতিরা বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারা প্রয়োগের ফলে শুধু নির্বাচিত সদস্যের অধিকারই খর্ব হয় না, তাতে ওই কেন্দ্রের ভোটারদের অধিকারও খর্ব হয়। নিম্ন আদালতের কারণ না দর্শানোর বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচকদের অধিকারের প্রশ্ন বিবেচনা করে বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালে রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে কর্ণাটকের কোলার জেলায় এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি পদবি-সম্পর্কিত ওই মন্তব্য করেছিলেন। দুর্নীতির মামলায় জড়িত পলাতক নীরব মোদি, ললিত মোদির নাম উল্লেখ করে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, চোরদের পদবি কেন মোদি হয়। ওই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা ঠোকেন। সেই মামলায় তার দুই বছরের সাজা হয়। ফলে রাহুল লোকসভার সদস্যপদও খোয়ান।

এরপর সাজা স্থগিত রাখার জন্য রাহুল প্রথমে সুরাটের দায়রা আদালত ও পরে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানান। দুই আদালতেই তার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় : ০৯:২১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ আগস্ট ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পেয়েছেন। মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাজা স্থগিতের দুইদিন পর সোমবার লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পেলেন তিনি। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের

ভারতের পার্লামেন্ট এক নোটিশের মাধ্যমে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরোপিত শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় মন্তব্য করে, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ‘রুচিকর’ না হলেও তাকে পার্লামেন্ট থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তার এলাকার ভোটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিচারপতি গাভাই এই প্রসঙ্গে বলেন, রাহুলকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে বলেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। সাজা এক দিন কম হলে ওই ধারা প্রযোজ্য হতো না। তিনি বলেন, এ ধরনের জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সময় কারণ দর্শানো উচিত। কিন্তু নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টও আবেদন খারিজ করা নিয়ে গাদা গাদা পৃষ্ঠায় বহু কিছু লিখেছেন, কিন্তু কোনো কারণ দেখাননি।

তিন বিচারপতির বেঞ্চ আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা নির্বাচকদের অধিকারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। বিচারপতিরা বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারা প্রয়োগের ফলে শুধু নির্বাচিত সদস্যের অধিকারই খর্ব হয় না, তাতে ওই কেন্দ্রের ভোটারদের অধিকারও খর্ব হয়। নিম্ন আদালতের কারণ না দর্শানোর বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচকদের অধিকারের প্রশ্ন বিবেচনা করে বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালে রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে কর্ণাটকের কোলার জেলায় এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি পদবি-সম্পর্কিত ওই মন্তব্য করেছিলেন। দুর্নীতির মামলায় জড়িত পলাতক নীরব মোদি, ললিত মোদির নাম উল্লেখ করে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, চোরদের পদবি কেন মোদি হয়। ওই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা ঠোকেন। সেই মামলায় তার দুই বছরের সাজা হয়। ফলে রাহুল লোকসভার সদস্যপদও খোয়ান।

এরপর সাজা স্থগিত রাখার জন্য রাহুল প্রথমে সুরাটের দায়রা আদালত ও পরে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানান। দুই আদালতেই তার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।