ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন নিউইয়র্কে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন রুনা খান25

বিএনপি নিজেদের অজান্তেই শোকের মিছিল করছে : কাদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩ ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কালো মিছিল করছে কেন? তাদের কোন নেতা মারা গেছে? আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে এখন বিএনপি নেতারা নিজেদের অজান্তেই শোকের মিছিল করছে। আন্দোলনের পতাকা হলো লাল-সবুজ। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকের প্রতি তাদের কোনো দরদ নেই। যে মিছিলে জনগণ নেই সেই মিছিল গণমিছিল হয় কী করে?

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিল মানেই সারা শহরে মিছিল আর মিছিল। আপনারা মিছিল দেখবেন এক তারিখ এবং দুই তারিখে। আমরা বিজয়ের পতাকা নিয়ে মিছিল করব, বিএনপির মতো শোকের কালো পতাকা নিয়ে নয়।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছি। আজকে বিএনপি নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। তাদের গলায় আর জোর নেই। তাদের সমাবেশে আস্তে আস্তে লোক কমে যাচ্ছে। আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার আটকে গেছে। মরা গাঙে ঢেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির বাজার ভাঙা হাটের মতো। ভাঙা হাঁট আর জমে না। ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসবে, দেশ চালাবেন, তারেক জিয়া দেশে আসবে, কোথায় গেল এসব লাফালাফি? গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে তাদের লাফালাফি শেষ। তারপর পদযাত্রা থেকে শুরু করে বিএনপি এসব করেও আন্দোলন জমাতে পারেনি।

ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন অনেক দূরে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দিনের বেলায় জাগরণের স্বপ্ন দেখছে৷ তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। এদেশের শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষ যাকে ভালোবাসে, যাকে ভোট দিতে চায়, তারা (আওয়ামী লীগ) কেন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে? শেখ হাসিনা কেন বিদায় নেবেন? বিদেশি নেতারা শেখ হাসিনাকে মানবতার মা বলেছেন। তিনি অভিভাবকের মতো বর্ডার খুলে দিয়েছেন৷ আজকে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে বসবাস করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বসে বসে স্বপ্ন দেখে, বিএনপি নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক ছড়ায়। বিএনপি রাস্তা অবরোধ করেছে। ঢাকার প্রবেশ পথে আটকে রেখেছে। তাহলে বিএনপিরও তো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা দরকার। বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় না কেন? সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। আজকে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বড় বড় দেশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের কেন ফিরিয়ে দিচ্ছে না, এটা কোন দেশের গণতন্ত্র?

রোহিঙ্গারা দেশের বোঝা হয়ে রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ সাহায্য করে না, শুধু মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য মায়া কান্না কাটে। তারা তাদের দেশে অভিবাসীদের জায়গা দিতে পারে না। রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের দেশের অন্যতম সুন্দর জায়গা কক্সবাজারের জনজীবন আজ বিপন্নপ্রায়। আমাদের ট্যুরিজম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বিদেশিরা মুখে সুন্দর সুন্দর বাণী উচ্চারণ করে, আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করে, কিন্তু বাস্তবে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না।

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিএনপি নিজেদের অজান্তেই শোকের মিছিল করছে : কাদের

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কালো মিছিল করছে কেন? তাদের কোন নেতা মারা গেছে? আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে এখন বিএনপি নেতারা নিজেদের অজান্তেই শোকের মিছিল করছে। আন্দোলনের পতাকা হলো লাল-সবুজ। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকের প্রতি তাদের কোনো দরদ নেই। যে মিছিলে জনগণ নেই সেই মিছিল গণমিছিল হয় কী করে?

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিল মানেই সারা শহরে মিছিল আর মিছিল। আপনারা মিছিল দেখবেন এক তারিখ এবং দুই তারিখে। আমরা বিজয়ের পতাকা নিয়ে মিছিল করব, বিএনপির মতো শোকের কালো পতাকা নিয়ে নয়।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছি। আজকে বিএনপি নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। তাদের গলায় আর জোর নেই। তাদের সমাবেশে আস্তে আস্তে লোক কমে যাচ্ছে। আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার আটকে গেছে। মরা গাঙে ঢেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির বাজার ভাঙা হাটের মতো। ভাঙা হাঁট আর জমে না। ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসবে, দেশ চালাবেন, তারেক জিয়া দেশে আসবে, কোথায় গেল এসব লাফালাফি? গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে তাদের লাফালাফি শেষ। তারপর পদযাত্রা থেকে শুরু করে বিএনপি এসব করেও আন্দোলন জমাতে পারেনি।

ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন অনেক দূরে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দিনের বেলায় জাগরণের স্বপ্ন দেখছে৷ তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। এদেশের শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষ যাকে ভালোবাসে, যাকে ভোট দিতে চায়, তারা (আওয়ামী লীগ) কেন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে? শেখ হাসিনা কেন বিদায় নেবেন? বিদেশি নেতারা শেখ হাসিনাকে মানবতার মা বলেছেন। তিনি অভিভাবকের মতো বর্ডার খুলে দিয়েছেন৷ আজকে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে বসবাস করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বসে বসে স্বপ্ন দেখে, বিএনপি নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক ছড়ায়। বিএনপি রাস্তা অবরোধ করেছে। ঢাকার প্রবেশ পথে আটকে রেখেছে। তাহলে বিএনপিরও তো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা দরকার। বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় না কেন? সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। আজকে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বড় বড় দেশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের কেন ফিরিয়ে দিচ্ছে না, এটা কোন দেশের গণতন্ত্র?

রোহিঙ্গারা দেশের বোঝা হয়ে রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ সাহায্য করে না, শুধু মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য মায়া কান্না কাটে। তারা তাদের দেশে অভিবাসীদের জায়গা দিতে পারে না। রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের দেশের অন্যতম সুন্দর জায়গা কক্সবাজারের জনজীবন আজ বিপন্নপ্রায়। আমাদের ট্যুরিজম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বিদেশিরা মুখে সুন্দর সুন্দর বাণী উচ্চারণ করে, আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করে, কিন্তু বাস্তবে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না।

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম।