ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাল তলা ক্যাফে আগুন: চার বন্ধুর স্বপ্ন পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা ডিএসসিসি কীটনাশক ছিটানো দ্বিগুণ করলো – মশকনিধনে নতুন উদ্যোগ দৌলতপুর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আখতারুজ্জামান সজলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা বরিশাল বিভাগে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে সর্বোচ্চ সংখ্যা পাসপোর্ট দিবো না: মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ উজবেকিস্তান বিশ্বকাপ ২০২৬: খেলোয়াড়দের প্রেসিডেন্টের উপহার গাড়ি বিএসএফের পুশ-ইন: সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন অনুপ্রবেশ কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে নারী নির্যাতন, মামলা ও গ্রেপ্তার – থানায় গ্রামবাসীর ঘেরাও ড. ইউনূসের সঙ্গে বিরোধে নয়, সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি: কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

চাহিদা কম থাকায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম, দামও কম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারে সবজির চাহিদা কমে গেছে। এজন্য সবজির সরবরাহও কম। সে কারণে দামও কিছুটা কমেছে। তবে আগামী সপ্তাহে লোকজন ফিরলে সরবরাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর সবজির দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। অল্প কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও তাতে পণ্য ও ক্রেতা দুই-ই কম।

সবজি বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চাহিদা ও সরবরাহ ছিল। তবে ঈদের দিন থেকে চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই কমেছে।

সকালে যাত্রাবাড়ীর তুষারধারা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটিতে এখন অধিকাংশ সবজি দোকানই বন্ধ। অল্প কয়েকটি দোকান খোলা রয়েছে।

dhakapost

এ বাজারের সবজি বিক্রেতা আলিম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ করতে সবাই গ্রামে চলে গেছে। এজন্য সবজির চাহিদাও কম। তাছাড়া এখন প্রত্যেকের ঘরে-ঘরে মাংস। সবমিলিয়ে চাহিদা কম থাকায় সরবরাহও কম।

তিনি আরও বলেন, চাহিদা না থাকায় আমরাও কম সবজি তুলছি। তবে আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। চাহিদা বাড়লে সরবরাহও বাড়বে।

আমির নামের এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের বাসায় কোরবানির মাংস থাকার কারণে এখন সবজির চাহিদা কম। তবে আমাদের পরিবারের সবাই মাংসের পাশাপাশি সবজি খাই। সেজন্য বাজারে সবজি কিনতে এলাম।

দাম নিয়ে তিনি বলেন, চাহিদা কম থাকায় এখন দাম কিছুটা কম আছে। তবে চাহিদা বেড়ে গেলে দাম অটোমেটিক বাড়িয়ে দেবে বিক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের দুই দিন আগে শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়েছিল। সালাদ তৈরির উপকরণ হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। তবে ঈদের দিন পার হতেই ধীরে ধীরে সেই দাম কমতে শুরু করেছে।

বর্তমানে প্রতি কেজি হাইব্রিড জাতের শসা ৪০-৬০ টাকা ও দেশি শসা ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি গাজর  ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টমেটো বর্তমানে ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে, পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।

বিক্রেতারা বলছেন, এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। বাড়ি থেকে লোকজন ঢাকায় ফিরলে আগামী সপ্তাহ থেকেই দাম বাড়তে পারে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাহিদা কম থাকায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম, দামও কম

আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারে সবজির চাহিদা কমে গেছে। এজন্য সবজির সরবরাহও কম। সে কারণে দামও কিছুটা কমেছে। তবে আগামী সপ্তাহে লোকজন ফিরলে সরবরাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর সবজির দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। অল্প কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও তাতে পণ্য ও ক্রেতা দুই-ই কম।

সবজি বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চাহিদা ও সরবরাহ ছিল। তবে ঈদের দিন থেকে চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই কমেছে।

সকালে যাত্রাবাড়ীর তুষারধারা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটিতে এখন অধিকাংশ সবজি দোকানই বন্ধ। অল্প কয়েকটি দোকান খোলা রয়েছে।

dhakapost

এ বাজারের সবজি বিক্রেতা আলিম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ করতে সবাই গ্রামে চলে গেছে। এজন্য সবজির চাহিদাও কম। তাছাড়া এখন প্রত্যেকের ঘরে-ঘরে মাংস। সবমিলিয়ে চাহিদা কম থাকায় সরবরাহও কম।

তিনি আরও বলেন, চাহিদা না থাকায় আমরাও কম সবজি তুলছি। তবে আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। চাহিদা বাড়লে সরবরাহও বাড়বে।

আমির নামের এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের বাসায় কোরবানির মাংস থাকার কারণে এখন সবজির চাহিদা কম। তবে আমাদের পরিবারের সবাই মাংসের পাশাপাশি সবজি খাই। সেজন্য বাজারে সবজি কিনতে এলাম।

দাম নিয়ে তিনি বলেন, চাহিদা কম থাকায় এখন দাম কিছুটা কম আছে। তবে চাহিদা বেড়ে গেলে দাম অটোমেটিক বাড়িয়ে দেবে বিক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের দুই দিন আগে শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়েছিল। সালাদ তৈরির উপকরণ হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। তবে ঈদের দিন পার হতেই ধীরে ধীরে সেই দাম কমতে শুরু করেছে।

বর্তমানে প্রতি কেজি হাইব্রিড জাতের শসা ৪০-৬০ টাকা ও দেশি শসা ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি গাজর  ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টমেটো বর্তমানে ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে, পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।

বিক্রেতারা বলছেন, এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। বাড়ি থেকে লোকজন ঢাকায় ফিরলে আগামী সপ্তাহ থেকেই দাম বাড়তে পারে।