ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এএসআই স্বাধীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হুমকি!

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি র‌্যাবের, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীতে র‍্যাব সদস্য এএসআই স্বাধীন কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। মারধর, হুমকি ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত ও বিচার দাবি।

জেলা প্রতিনিধি: এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি র‌্যাবের, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ, রাজশাহী মহানগরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ এর সদস্য এএসআই স্বাধীন-এর বিরুদ্ধে একজন সাধারণ নাগরিককে মারধর, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি এবং পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী পরিবার এ ঘটনায় বিচার ও তদন্ত দাবি করেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী মো. সাজাহানের স্ত্রী মোসা: লামিয়া আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, “আমার স্বামীকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে এবং আমাদের পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও আর্থিকভাবে হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে।”

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি র‌্যাবের, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ

ঘটনাটি কীভাবে ঘটল?
লিখিত বক্তব্যে লামিয়া আক্তার জানান, গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে র‌্যাব-৫ এর এএসআই স্বাধীন কয়েকজন অজ্ঞাত লোকসহ তাদের বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর দাবি করেন, তাদের ঘরে মাদকদ্রব্য রয়েছে। কোনো প্রকার তল্লাশি ও বৈধ পরোয়ানা ছাড়াই তার স্বামী মো. সাজাহানকে নির্মমভাবে মারধর শুরু করেন।

“সাজাহানের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। তার হাঁটু, পিঠ, ও হাতসহ বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে,” বলেন লামিয়া।

মাদকদ্রব্য মেলেনি, তবু হুমকি
সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া বলেন, “তারা আমাদের ঘরবাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন, কিন্তু কোনো মাদকদ্রব্য পাননি। তখন এএসআই স্বাধীন বলেন, যদি এই ঘটনা বাইরে জানানো হয়, তবে হাফ কেজি হেরোইন দিয়ে সাজাহানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে।”

এই হুমকিতে পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে থাকেন এবং স্থানীয়দের অনেকেই ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করা হয়েছে।

পারিবারিক সম্পর্ক থেকে হয়রানির শুরু

এএসআই স্বাধীন দীর্ঘ নয় মাস ধরে সাজাহান-লামিয়া দম্পতির পারিবারিক বন্ধু হিসেবে উঠাবসা করতেন বলে দাবি করেন লামিয়া। তাদের অতীতে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও গত চার বছর ধরে পরিবারটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে এবং কোনো অবৈধ কার্যক্রমে যুক্ত ছিল না।

“আমার বিয়ের সময় তিনি এক লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিলেন। আমরা ৩০ হাজার টাকা ধার দিই। টাকা ফেরত চাইতেই শুরু হয় ভিন্ন রূপে প্রতিশোধ।** একদিকে দেনা ফেরত দিচ্ছেন না, অন্যদিকে র‌্যাবের পরিচয় ব্যবহার করে আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন,” বলেন লামিয়া।

ডিজিটাল মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন
সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া অভিযোগ করেন, এএসআই স্বাধীন তার হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেজিংয়ের মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। “একজন র‌্যাব সদস্য যদি এভাবে ব্যক্তিগত ক্ষোভে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে?” প্রশ্ন তোলেন তিনি।

পরিবারের দাবি:
সাংবাদিক সম্মেলনে লামিয়া আক্তার সরকারের উচ্চ মহলের কাছে তিনটি দাবি জানান: মো. সাজাহানের উপর চালানো নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার। এএসআই স্বাধীনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ। ধার নেওয়া ৩০ হাজার টাকা ফেরত।

তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক শক্তি না, কোনো অপরাধে জড়িত না। শুধুমাত্র একজন র‌্যাব সদস্যের ক্ষোভের কারণে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

অভিযুক্তের পাল্টা বক্তব্য:
সংবাদকর্মীরা এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই স্বাধীন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,
“আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি একটি ব্যক্তিগত অপপ্রচার মাত্র। সাজাহান ও লামিয়া দম্পতি মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।”

তবে এসব মামলার বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য বা কোর্টের রেফারেন্স তিনি দেননি।

বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট:
এই ঘটনা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষোভে ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত বিতর্ককে আরও জোরালো করে তুলেছে। র‌্যাব সদস্যদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা রক্ষায় তাদের আচরণ ও স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “র‌্যাব বা পুলিশ সদস্যদের যদি ব্যক্তিগত দেনা-পাওনা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখাতে দেওয়া হয়, তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

আইনি করণীয়:
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে পারে:

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) বা পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ইউনিটে লিখিত অভিযোগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দাখিল, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা

এএসআই স্বাধীন যদি সত্যিই ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে র‌্যাবের পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে থাকেন, তবে তা শুধু আইনের অপমান নয়—মানবাধিকারেরও চরম লঙ্ঘন। এ ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত না হলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, যা সমাজে ভয়ভীতি ও অনিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

এএসআই স্বাধীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হুমকি!

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি র‌্যাবের, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

জেলা প্রতিনিধি: এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি র‌্যাবের, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ, রাজশাহী মহানগরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ এর সদস্য এএসআই স্বাধীন-এর বিরুদ্ধে একজন সাধারণ নাগরিককে মারধর, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি এবং পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী পরিবার এ ঘটনায় বিচার ও তদন্ত দাবি করেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী মো. সাজাহানের স্ত্রী মোসা: লামিয়া আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, “আমার স্বামীকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে এবং আমাদের পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও আর্থিকভাবে হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে।”

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি র‌্যাবের, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ

ঘটনাটি কীভাবে ঘটল?
লিখিত বক্তব্যে লামিয়া আক্তার জানান, গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে র‌্যাব-৫ এর এএসআই স্বাধীন কয়েকজন অজ্ঞাত লোকসহ তাদের বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর দাবি করেন, তাদের ঘরে মাদকদ্রব্য রয়েছে। কোনো প্রকার তল্লাশি ও বৈধ পরোয়ানা ছাড়াই তার স্বামী মো. সাজাহানকে নির্মমভাবে মারধর শুরু করেন।

“সাজাহানের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। তার হাঁটু, পিঠ, ও হাতসহ বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে,” বলেন লামিয়া।

মাদকদ্রব্য মেলেনি, তবু হুমকি
সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া বলেন, “তারা আমাদের ঘরবাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন, কিন্তু কোনো মাদকদ্রব্য পাননি। তখন এএসআই স্বাধীন বলেন, যদি এই ঘটনা বাইরে জানানো হয়, তবে হাফ কেজি হেরোইন দিয়ে সাজাহানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে।”

এই হুমকিতে পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে থাকেন এবং স্থানীয়দের অনেকেই ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করা হয়েছে।

পারিবারিক সম্পর্ক থেকে হয়রানির শুরু

এএসআই স্বাধীন দীর্ঘ নয় মাস ধরে সাজাহান-লামিয়া দম্পতির পারিবারিক বন্ধু হিসেবে উঠাবসা করতেন বলে দাবি করেন লামিয়া। তাদের অতীতে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও গত চার বছর ধরে পরিবারটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে এবং কোনো অবৈধ কার্যক্রমে যুক্ত ছিল না।

“আমার বিয়ের সময় তিনি এক লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিলেন। আমরা ৩০ হাজার টাকা ধার দিই। টাকা ফেরত চাইতেই শুরু হয় ভিন্ন রূপে প্রতিশোধ।** একদিকে দেনা ফেরত দিচ্ছেন না, অন্যদিকে র‌্যাবের পরিচয় ব্যবহার করে আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন,” বলেন লামিয়া।

ডিজিটাল মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন
সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া অভিযোগ করেন, এএসআই স্বাধীন তার হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেজিংয়ের মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। “একজন র‌্যাব সদস্য যদি এভাবে ব্যক্তিগত ক্ষোভে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে?” প্রশ্ন তোলেন তিনি।

পরিবারের দাবি:
সাংবাদিক সম্মেলনে লামিয়া আক্তার সরকারের উচ্চ মহলের কাছে তিনটি দাবি জানান: মো. সাজাহানের উপর চালানো নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার। এএসআই স্বাধীনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ। ধার নেওয়া ৩০ হাজার টাকা ফেরত।

তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক শক্তি না, কোনো অপরাধে জড়িত না। শুধুমাত্র একজন র‌্যাব সদস্যের ক্ষোভের কারণে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

অভিযুক্তের পাল্টা বক্তব্য:
সংবাদকর্মীরা এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই স্বাধীন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,
“আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি একটি ব্যক্তিগত অপপ্রচার মাত্র। সাজাহান ও লামিয়া দম্পতি মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।”

তবে এসব মামলার বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য বা কোর্টের রেফারেন্স তিনি দেননি।

বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট:
এই ঘটনা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষোভে ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত বিতর্ককে আরও জোরালো করে তুলেছে। র‌্যাব সদস্যদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা রক্ষায় তাদের আচরণ ও স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “র‌্যাব বা পুলিশ সদস্যদের যদি ব্যক্তিগত দেনা-পাওনা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখাতে দেওয়া হয়, তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

আইনি করণীয়:
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে পারে:

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) বা পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ইউনিটে লিখিত অভিযোগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দাখিল, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা

এএসআই স্বাধীন যদি সত্যিই ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে র‌্যাবের পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে থাকেন, তবে তা শুধু আইনের অপমান নয়—মানবাধিকারেরও চরম লঙ্ঘন। এ ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত না হলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, যা সমাজে ভয়ভীতি ও অনিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করবে।