ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / 6

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (২-৬ নভেম্বর) লেনদেন হওয়ার শেয়ার ও ইউনিটগুলোর মধ্যে যে কয়টির দর বেড়েছে, তার চেয়ে সাড়ে ৮ গুণ বেশি সংখ্যকের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূলসূচকে বড় পতন হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকগুলো সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। আর অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় সবগুলো শেয়ার ও ইউনিটের সার্বিক মূল্য তথা ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে, এক্সচেঞ্জটির সাপ্তাহিক লেনদেনে কিছুটা গতি বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং করপোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টি কোম্পানির, কমেছে ৩৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর।

অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতনে গত সপ্তাহে ডিএসইর সবগুলো মূল্যসূচকে বড় পতন হয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫৪ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে।

এ ছাড়া ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে নেমেছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিলে ১ হাজার ৯৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে।

অধিকাংশ সিকিউরিটিজে দরপতন হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা।

সূচকে পতন হওয়ার পরও ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা হয়েছিল ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে ১৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে এবং ৮ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে।

এ ছাড়া সিএসআই সূচকটি ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর সিএসই-৩০ সূচকটি ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে নেমেছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় : ১১:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (২-৬ নভেম্বর) লেনদেন হওয়ার শেয়ার ও ইউনিটগুলোর মধ্যে যে কয়টির দর বেড়েছে, তার চেয়ে সাড়ে ৮ গুণ বেশি সংখ্যকের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূলসূচকে বড় পতন হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকগুলো সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। আর অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় সবগুলো শেয়ার ও ইউনিটের সার্বিক মূল্য তথা ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে, এক্সচেঞ্জটির সাপ্তাহিক লেনদেনে কিছুটা গতি বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং করপোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টি কোম্পানির, কমেছে ৩৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর।

অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতনে গত সপ্তাহে ডিএসইর সবগুলো মূল্যসূচকে বড় পতন হয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫৪ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে।

এ ছাড়া ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে নেমেছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিলে ১ হাজার ৯৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে।

অধিকাংশ সিকিউরিটিজে দরপতন হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা।

সূচকে পতন হওয়ার পরও ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা হয়েছিল ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে ১৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে এবং ৮ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে।

এ ছাড়া সিএসআই সূচকটি ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর সিএসই-৩০ সূচকটি ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে নেমেছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।