ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জ-৫: বহিষ্কারের ভয়ে চাপে ক্ষোভে মহানগর বিএনপি নেত্রবিন্দু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / 2

নারায়ণগঞ্জ, (রিপোর্ট) নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা ও সাধারণ সমর্থক বলছেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা ও ভয়। দলের উচ্চ পর্যায় থেকে মাসুদুজ্জামান (মাসুদ) নামের এক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রদান করার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরে তৃণমূল থেকে সাধারণ ভোটার-সমাজ পর্যন্ত ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, বহিষ্কারের ভয় দেখিয়ে নেতাদের চাপে রাখা হচ্ছে; ফলে ইচ্ছা না থাকলেও সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন।

নাম না প্রকাশ করা দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা বলেন, মনে হচ্ছে এই দল করে আমরা ভুল করেছি, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে, উজ্জীবিত করেছি এই ফ্যাসিবাদের দালালদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নয় কিন্তু কিছু করার নেই হাজার কষ্ট হলেও আমরা দলের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হতে পারি; কিন্তু যারা এই সিদ্ধান্তগুলোর জন্য দায়ী রাজনীতিতে আমাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলেও কখনো কখনো এমন অসম্মানজনক অবস্থায় আসতে হয়। অনেকে আরও জানান যে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেই প্রশ্ন কীভাবে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন সম্ভব হলো, এবং এই মনোনয়ন কি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে?

অনেক সাধারণ মানুষের মত, বিগত ১৭ বছরে বিএনপির যে সুনাম অর্জন করেছিল, তা যেন এ মনোনয়নের ঘোষণার পরে সম্পূর্ণভাবে সেই সুনাম ধ্বংস করে দিয়েছে পূর্বের চরিত্রের যে কালেমা ছিল ইতিহাস তার ভিত্তিতেই অনেকে মনে করেন দলের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি বিএনপি দল দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করত, তা হলে ত্যাগী নেতারা ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিত। ত্যাগী মূল্যায়িত না হওয়াতে ২০২৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব পড়তে পারে।

নেতারা উল্লেখ করেন, বহিষ্কার ভয়ের কারণে অনেকে মুখে রাজি থাকলেও অন্তরে চাপা খোপ ; অনেকেই বলছেন আমরা দলের জন্য কাজ করলেও দল আমাদেরকে মূল্যায়িত করছে না যদি দল আমাদেরকে মূল্যায়িত করত তাহলে আমাদের ত্যাগীদের মধ্যেই মনোনয়ন দিত, এখন যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সে হচ্ছে ফ্যাসিবাদীদের আবারো ফিরে আনতে এবং বিএনপিকে ধ্বংস করতে সে একটি নির্দিষ্ট গুষ্টির ও চক্রের হয়ে কাজ করছে তা বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের নেত্রবিন্দুর আর্থিক লেনদেন করে এখন আমাদেরকে একটি পর্যায় বাধ্য করছে মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন করার জন্য,

অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি শক্তিশালী ধারণা দেখা যাচ্ছে যে মাসুদুজ্জামান ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যস্ত; তাদের মতে, বিদেশভিত্তিক বা সরকারঘটিত কোনো উদ্দেশ্য নেই বলে মনে করেন অনেকে। কয়েকজন বলেন, তার রাজনৈতিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্ষমতার সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগকে পূর্ণ জীবিত করবে বিএনপিকে ধ্বংস করবে এসবই তাকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে গেলে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, যদি বিএনপি দলের আচরণ ভোটের আগেই মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে তারা হয় স্বতন্ত্র দলকে সমর্থন দেবেনে আর ন হয় বিকল্প (জামায়াতে ইসলাম বা অন্যান্য) দলকে সমর্থ্যন দিবে। স্থানীয়রা বলেন আমরা এমন একটি সংসদে এমপি দেখতে চাই যেকোনো সময় বিপদে-আপদে তাকে পাশে পাওয়া যায়এমন ধারণা সাধারণ মানুষের আছে।

বহু নেতাই দাবি করেছেন যে তৃণমূল অবমূল্যায়িত হয়েছে ও উচ্চ পর্যায়ের নেতারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে জানলেও প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেনা কারণ তারা কোনও মতামত বা কোন প্রতিক্রিয়া দিলেই বহিষ্কারের শিকার হতে পারেন। নিজের লুকোচুরি ভেঙে প্রকাশ্যে কথা বলায় অনেকে অনুতপ্ত তবু তারা বিশ্বাস করেন, দল যদি সত্যিকারের স্বচ্ছ ও ন্যায় সংগত মনোনয়ন নীতিই গ্রহণ করত, তাহলে এমন বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ দেখা যেত না।

এই সংবাদ সংগ্রহের সময় নাম না প্রকাশের শর্তে আরও অনেক নেতা জানিয়েছেন যে দলের নীতিনির্ধারকরা যদি নেতাদের মূল্যায়ন করতেন, তাতে হয়তো কোনোক্রমেই ত্যাগী ও পরিচিত নেতাদের সম্মানহানি হত না। তারা ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতৃত্ব এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে; বহিষ্কারের ভয়ের ছায়ায় অনেক নেতা প্রতিকারহীন ও চুপিচুপি রাজি হতে বাধ্য হচ্ছেন, এবং ভোটাররা ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক মূল্যায়ন করবেন বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নারায়ণগঞ্জ-৫: বহিষ্কারের ভয়ে চাপে ক্ষোভে মহানগর বিএনপি নেত্রবিন্দু

আপডেট সময় : ১০:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ, (রিপোর্ট) নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা ও সাধারণ সমর্থক বলছেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা ও ভয়। দলের উচ্চ পর্যায় থেকে মাসুদুজ্জামান (মাসুদ) নামের এক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রদান করার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরে তৃণমূল থেকে সাধারণ ভোটার-সমাজ পর্যন্ত ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, বহিষ্কারের ভয় দেখিয়ে নেতাদের চাপে রাখা হচ্ছে; ফলে ইচ্ছা না থাকলেও সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন।

নাম না প্রকাশ করা দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা বলেন, মনে হচ্ছে এই দল করে আমরা ভুল করেছি, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে, উজ্জীবিত করেছি এই ফ্যাসিবাদের দালালদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নয় কিন্তু কিছু করার নেই হাজার কষ্ট হলেও আমরা দলের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হতে পারি; কিন্তু যারা এই সিদ্ধান্তগুলোর জন্য দায়ী রাজনীতিতে আমাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলেও কখনো কখনো এমন অসম্মানজনক অবস্থায় আসতে হয়। অনেকে আরও জানান যে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেই প্রশ্ন কীভাবে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন সম্ভব হলো, এবং এই মনোনয়ন কি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে?

অনেক সাধারণ মানুষের মত, বিগত ১৭ বছরে বিএনপির যে সুনাম অর্জন করেছিল, তা যেন এ মনোনয়নের ঘোষণার পরে সম্পূর্ণভাবে সেই সুনাম ধ্বংস করে দিয়েছে পূর্বের চরিত্রের যে কালেমা ছিল ইতিহাস তার ভিত্তিতেই অনেকে মনে করেন দলের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি বিএনপি দল দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করত, তা হলে ত্যাগী নেতারা ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিত। ত্যাগী মূল্যায়িত না হওয়াতে ২০২৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব পড়তে পারে।

নেতারা উল্লেখ করেন, বহিষ্কার ভয়ের কারণে অনেকে মুখে রাজি থাকলেও অন্তরে চাপা খোপ ; অনেকেই বলছেন আমরা দলের জন্য কাজ করলেও দল আমাদেরকে মূল্যায়িত করছে না যদি দল আমাদেরকে মূল্যায়িত করত তাহলে আমাদের ত্যাগীদের মধ্যেই মনোনয়ন দিত, এখন যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সে হচ্ছে ফ্যাসিবাদীদের আবারো ফিরে আনতে এবং বিএনপিকে ধ্বংস করতে সে একটি নির্দিষ্ট গুষ্টির ও চক্রের হয়ে কাজ করছে তা বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের নেত্রবিন্দুর আর্থিক লেনদেন করে এখন আমাদেরকে একটি পর্যায় বাধ্য করছে মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন করার জন্য,

অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি শক্তিশালী ধারণা দেখা যাচ্ছে যে মাসুদুজ্জামান ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যস্ত; তাদের মতে, বিদেশভিত্তিক বা সরকারঘটিত কোনো উদ্দেশ্য নেই বলে মনে করেন অনেকে। কয়েকজন বলেন, তার রাজনৈতিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্ষমতার সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগকে পূর্ণ জীবিত করবে বিএনপিকে ধ্বংস করবে এসবই তাকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে গেলে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, যদি বিএনপি দলের আচরণ ভোটের আগেই মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে তারা হয় স্বতন্ত্র দলকে সমর্থন দেবেনে আর ন হয় বিকল্প (জামায়াতে ইসলাম বা অন্যান্য) দলকে সমর্থ্যন দিবে। স্থানীয়রা বলেন আমরা এমন একটি সংসদে এমপি দেখতে চাই যেকোনো সময় বিপদে-আপদে তাকে পাশে পাওয়া যায়এমন ধারণা সাধারণ মানুষের আছে।

বহু নেতাই দাবি করেছেন যে তৃণমূল অবমূল্যায়িত হয়েছে ও উচ্চ পর্যায়ের নেতারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে জানলেও প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেনা কারণ তারা কোনও মতামত বা কোন প্রতিক্রিয়া দিলেই বহিষ্কারের শিকার হতে পারেন। নিজের লুকোচুরি ভেঙে প্রকাশ্যে কথা বলায় অনেকে অনুতপ্ত তবু তারা বিশ্বাস করেন, দল যদি সত্যিকারের স্বচ্ছ ও ন্যায় সংগত মনোনয়ন নীতিই গ্রহণ করত, তাহলে এমন বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ দেখা যেত না।

এই সংবাদ সংগ্রহের সময় নাম না প্রকাশের শর্তে আরও অনেক নেতা জানিয়েছেন যে দলের নীতিনির্ধারকরা যদি নেতাদের মূল্যায়ন করতেন, তাতে হয়তো কোনোক্রমেই ত্যাগী ও পরিচিত নেতাদের সম্মানহানি হত না। তারা ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতৃত্ব এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে; বহিষ্কারের ভয়ের ছায়ায় অনেক নেতা প্রতিকারহীন ও চুপিচুপি রাজি হতে বাধ্য হচ্ছেন, এবং ভোটাররা ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক মূল্যায়ন করবেন বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।